নারীর প্রতি সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া সহিংসতার বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার নারীরা। রাজধানী ক্যানবেরাসহ ব্রিসবেন, মেলবোর্ন, গোল্ড কোস্ট এবং নিউক্যাসেলে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার নারী। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাকে ‘জাতীয় জরুরি’ অবস্থা ঘোষণা করার এবং এটি বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রণয়নের।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচির সংগঠক মার্টিনা ফেররা বলেন, আমরা চাই সহিংসতার পর বেঁচে যাওয়া নারীদের গল্পটা অন্যভাবে লেখা হোক। যা তাদেরকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং মানসিক শক্তি দেবে। যে গল্পটাকে নিজের বলে ভাবতে গর্ব অনুভব করবে। এবং আমরা চাই সরকার স্বীকার করুক এটি একটি জরুরি বিষয় এবং অবিলম্বে সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, বিষয়টি একটি জাতীয় সংকট। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানী ক্যানবেরায় একটি সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেন, এ বিষয়ে সরকার আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এ সময় সেখানে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন।
আলবানিজ বলেন, আমাদের সংস্কৃতি, দৃষ্টিভঙ্গি, আইনি ব্যবস্থা এবং সরকারের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, এটি নারীদের উপর নির্ভর করে না, এটি পুরুষদের ওপর নির্ভর করে যে তারা নারীদের বিষয়ে তাদের আচরণ পরিবর্তন করবে। অস্ট্রেলিয়ায় চলতি বছর গড়ে প্রতি চারদিনে একজন নারী নিহত হয়েছেন।
নারীর প্রতি সহিংসতাকে ‘জাতীয় জরুরি’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য বিক্ষোভকারীদের আহ্বানের জবাবে আলবানিজ সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি বলেন, এর জন্য আমাদের এক মাস বা দুই মাসের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন এই বিষয়কে গুরুত্ব সহকারে দেখা। সেটা সপ্তাহে সপ্তাহে, মাসে মাসে, বছরের পর বছর ধরে হতে পারে।
তার এই মন্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে।
এদিকে ক্যাম্পেইন গ্রুপ ‘ডেস্ট্রয় দ্য জয়েন্ট’ এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম ১১৯ দিনে ২৭ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়।