Homeআন্তর্জাতিককেবল যুক্তরাষ্ট্রই পারে রাফাহতে ইসরাইলি ‘হামলা থামাতে’

কেবল যুক্তরাষ্ট্রই পারে রাফাহতে ইসরাইলি ‘হামলা থামাতে’

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা ইসরাইলকে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে হামলা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেখানে দশ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি বলেন, যে কোনো হামলা হলে ফিলিস্তিনিরা গাজা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। ইসরাইল বেশ কিছুদিন থেকেই রাফাহতে হামলা চালাবে বলে ঘোষণা দিয়ে আসছে।

এদিকে, রোববার (২৮ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় রাফাহতে ইসরাইলের হামলা নিয়ে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন বাইডেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলেছে যে, তারা গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার পথ নিশ্চিত করা হয়েছে এমন একটি বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা না দেখে রাফাহতে বড় আকারের ইসরাইলি সামরিক অভিযানকে সমর্থন করতে পারে না।

এর আগে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস রাফাহতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন করছি ইসরাইলকে রাফাহ অভিযান বন্ধ করতে বলুন; কারণ আমেরিকাই একমাত্র দেশ যে ইসরাইলকে এ অপরাধ করা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম। রাফাহতে ছোট পরিসরে হামলা হলেও এখানকার ফিলিস্তিনিরা গাজা উপত্যকা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।

তখন ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটবে বলে মন্তব্য করেন আব্বাস। যদিও রাফাহতে ইসরাইলের হামলার বিষয়ে বাইডেন বিস্তারিত কিছু বলেননি তবে জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি এবিসি নেটওয়ার্ককে বলেছেন যে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে এবং রাফাহতে হামলার আগে তারা দ্বিতীয়বার ভাববে।

গাজার জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি এখন রাফাহতে রয়েছে। সেখানে এরই মধ্যে পর্যাপ্ত খাবার, পানি এবং ওষুধের অভাবে পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠেছে।

Exit mobile version