ফিলিস্তিনের সমর্থনে আন্দোলনরত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ‘ওয়ার জোনে’ পরিণত হয়েছে। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছেন তারা। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ছেন। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫শ ৫০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে কলেজ প্রশাসকদের নির্দেশে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে টেজার গান এবং টিয়ার গ্যাস মোতায়েন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি এবং আদিবাসী অধ্যয়নের অধ্যাপক এমিল কেমে বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এই দৃশ্য’ তাকে কিশোর বয়সে গুয়াতেমালার গৃহযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ তাদের অস্ত্র, রাবার বুলেট প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের সরানোর চেষ্টা করছিল। আমার মনে হচ্ছিল আমি কোন যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলাম।
ইমোরি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন থামানোর জন্য একটি যৌথ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে আটলান্টা পুলিশ এবং জর্জিয়ার সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ইমোরি কমিউনিটির প্রায় ২০ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুজন নারী যারা নিজেদের অধ্যাপক বলে পরিচয় দিয়েছেন, তাদের একজনকে মাটিতে ফেলে দুহাত পেছনে মুড়ে হাতকড়া পরাচ্ছে পুলিশ।
গত সপ্তায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রথম বিক্ষোভ শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে অস্থায়ী তাঁবু গেড়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো শুরু করেন।
এরপর দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ।