বলিউড সিনেমা ‘ক্রু’ ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের সিনেমা হলেও মুক্তি পেয়েছে। তিন নায়িকার গ্ল্যামার আর বিনোদনে ভরপুর এ সিনেমা। কিন্তু বিনোদনের আড়ালে কী প্রমোট করছে ‘ক্রু’ জানেন?
আকাশ পথে স্বর্ণের চোরাচালানকে কেন্দ্র করে বলিউড নির্মাতা রাজেশ এ কৃষ্ণাণ বানিয়েছেন এ থ্রিলার সিনেমা। গল্পের শুরুতেই দেখা যায় অস্বচ্ছল তিন রূপসী এয়ারহোস্টেস ট্যাবু, কারিনা কাপুর ও কৃতি শ্যাননকে।
যারা ‘কোহিনূর এয়ারলাইন্সে’ কর্মরত। বেতন, ভাতা ঠিকমতো না পাওয়ায় নানা সমস্যায় চলছিল তাদের জীবন। একটা সময় তারা জড়িয়ে পড়েন স্বর্ণ চোরাচালানের অপরাধ জগতের সঙ্গে।
এ সিনেমায় দর্শকদের চোখে সহজেই পড়েছে তিন অভিনেত্রীর রূপ, অভিনয় গুণ। একই সঙ্গে সিনেমার হাস্যরস সংলাপ তার পোশাকের ডিজাইন এ সিনেমায় ছিল নজরকাড়া। সিনেমাটি নিয়ে এক কথায় বলতে গেলে অভাবে স্বভাব নষ্ট – এই বিষয়টিকেই পুরো সিনেমা জুড়ে নির্মাতা টেনেছেন কমেডি, সাসপেন্স, গ্ল্যামার আর গল্পের ধারায়।
এ সিনেমা দেখে বাংলাদেশে ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ফেমিনিস্ট কমেডি ফিল্ম ‘পালাবি কোথায়’ -র কথা মনে পড়ে যাবে। ট্যাবু, কারিনা কাপুর ও কৃতি শ্যাননের মতো ‘পালাবি কোথায়’ সিনেমাতেও শাবানা, চম্পা আর সুবর্ণা মোস্তফা নানা কমেডি ঘটনার মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির নানা সমস্যার কথা।
এ সিনেমায় মিউজিক সাইড তেমন ভালো না হলেও গতানুগতিক ধারার প্লট আর বলিউডি ঘরানার বাইরে গিয়ে কোনো রকম ভায়োলেন্স, ন্যুডিটি ছাড়াই সফলভাবে পিওর বিনোদন দিতে পেরেছে রাজেশ এ কৃষ্ণানের ‘ক্রু’। তবে এ সিনেমা দেখার আগে আপনি অবশ্যই মনে রাখবেন-
১। আপনার সন্তানের বয়স ১০ বছরের বেশি হলে এক সাথে সিনেমাটি না দেখাই ভালো।
২। সিনেমাটি পিওর এন্টারটেইনমেন্টে ভরপুর হলেও কিছু স্যাভেজ মোমেন্ট আপনাকে হঠাৎ অপ্রস্তুত করে তুলতে পারে।
৩। বিনোদনের আড়ালে ছবিটি আল্টিমেটলি নেগেটিভ ইস্যুকে প্রমোট করেছে। তাই দেখার সময় খানিকটা সচেতন থাকা জরুরি।
৪। হাইলি এক্সপেকটেশন নিয়ে সিনেমাটি দেখতে না বসলে শেষে আফসোস করতে হবে না।