আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে যে ঘোষণা আছে, তা অমান্য করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। তাই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহারের সময়সীমা ছাড়াও, নিজে নিজেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা সম্ভব। তাই শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দল।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কর্মসূচির নামে যাতে আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে কারণেই মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনের আগে রাজধানীতে দু’দলই একইদিনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে। তাই ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পথেই থাকবে আওয়ামী লীগ।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) স্বজনদের অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তাদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশও দেয়া হয়। নির্দেশনা না মানলে সাংগঠনিক ব্যবস্থারও কথা বলা হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের জানিয়ে দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সে অনুযায়ী, নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী ও এমপিদের বিষয়টি অবগত করেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
এদিকে প্রথম দফার উপজেলা নির্বাচনে ভোটের মাঠে লড়ছেন ২০ জনের বেশি মন্ত্রী-এমপির আত্মীয় স্বজন। বিনা বাধায় জয়ের পথে সাত জন। যদিও প্রথম দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে ৮ মে। কিন্তু খবর পাওয়া যাচ্ছে, এখনও মন্ত্রী-এমপিদের অনেক স্বজন নির্বাচনে রয়েছেন। আর মাঠে থাকার সিদ্ধান্তে অনঢ় আছেন তারা।