ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে এবার গুরুতর অভিযোগ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার অভিযোগ, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশে শরীয়াহ আইন বাস্তবায়ন করবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় এক নির্বাচনী সমাবেশে যোগী আদিত্যনাথ এ অভিযোগ করেন।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, কংগ্রেস ও তাদের সহযোগীরা দেশের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা দেশবাসীর কাছে মিথ্যা ইশতেহার প্রকাশ করেছে।
ভাষণে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি নেতা বলেন, আপনারা যদি কংগ্রেসের ইশতেহারের দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন, তারা এবারের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে দেশে শরীয়াহ আইন কার্যকর করবে।
সমাবেশে উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা বলুন, এই দেশ কি ভীমরাও রামজি আম্বেদকর তৈরি সংবিধান নাকি শরীয়াহ আইন দ্বারা পরিচালিত হবে?
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী সমাবেশে বলেছেন কংগ্রেস ইশতেহারে জনগণের সম্পত্তির পুনর্বন্টন অন্তর্ভুক্ত করেছে। তারা ‘ব্যক্তিগত আইন’ বাস্তবায়ন করবে। তার মানে শরিয়াহ আইন কার্যকর করা হবে কারণ মোদীজি তিন তালাকের প্রথা বন্ধ করে দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তারা (কংগ্রেস) বলেছে আবার ব্যক্তিগত আইন ফিরিয়ে আনবে। তার মানে তারা শরিয়াহ আইন বাস্তবায়ন করবে…,।
গত রোববার (২১ এপ্রিল) রাজস্থান রাজ্যের বাঁশবাড়া কেন্দ্রে বিজেপির এক নির্বাচনী জনসভায় মুসলিমবিদ্বেষী’ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে।
জনসভায় প্রধান বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসকে (আইএনসি) জড়িয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মোদি। বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বণ্টন করে দেবে। হিন্দুদের পারিবারিক সোনা-রুপার সঙ্গে বিবাহিত নারীদের গলায় পরা পবিত্র মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত তারা কেড়ে নিয়ে বাঁটোয়ারা করে দেবে।
ওই মন্তব্যে মোদি মুসলিম শব্দটি সরাসরি উল্লেখ করেন। এছাড়াও ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘যারা অনেক সন্তান জন্ম দেয়’ এমন দুটি শব্দ ও শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন তিনি। এই দুটি শব্দ দিয়ে বিজেপির নেতারা সাধারণত মুসলিম সম্প্রদায়কে বুঝিয়ে থাকেন।
জনসভায় উপস্থিত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে মোদি বলেন, যখন তারা (কংগ্রেস) ক্ষমতায় ছিল, তারা বলেছিল, সম্পদের ওপর মুসলিমদের অগ্রাধিকার। তারা তোমাদের সমস্ত ধন-সম্পদ একত্র করে যাদের বেশি সন্তান আছে তাদের মধ্যে বণ্টন করে দেবে। তারা অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিতরণ করবে।