জাকারিয়া শেখ, ফুলবাড়ী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ছাত্রীর সাথে প্রেম ও বিয়ের পরিকল্পনা করার দায়ে এক ইংরেজি প্রভাষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে এ ঘটনায় সহযোগিতাকারী কলেজের পিয়নকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ছে। ঘটনাটি বর্তমানে উপজেলায় টক অফ দা টাউনে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মনে আশঙ্কা বিরাজ করছে ।
জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি প্রভাষক খাইরুল বাশারের সাথে ওই কলেজের ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগের এক ছাত্রীর প্রাইভেট পড়ার সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ককে পূর্ণরূপ দিতে বিয়ে করতে রাজি হন। গত ১৮ এপ্রিল কলেজের প্রিয়ন জিয়া হায়দার জুলিয়াসের সহযোগিতায় তার বাড়ীতে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামে নিয়ে যায় ওই প্রভাষক খায়রুল বাশার, কাজী এসে বিয়ে পড়াবে ঠিক এই মুহূর্তে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের লোকজন জানতে পেরে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আলোড়নের সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ছাত্রীর অভিভাবক জানান, ঘটনা দুই দিন পর ওই প্রভাষক ও পিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি, তারই পরিপ্রেক্ষিতে একটি মিটিংয়ে মাধ্যমে দুজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, ফুলবাড়ী উপজেলায় একটি স্বনামধন্য কলেজে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমরা কখনো আশা করিনি, আমাদের মেয়েরাও এই কলেজে লেখাপড়া করে মেয়েদের নিয়েও আমরা খুব আতঙ্কে আছি।
অভিযুক্ত ইংরেজি প্রভাষক খাইরুল বাশার জানান, আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এই মর্মে আমার কাছে একটি চিঠি এসেছে, আমার কাছে জবাব চেয়েছে আমি বিষয়টিতে জবাব দেব, এবং একটি তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অভিযুক্ত পিয়ন জিয়া হায়দার জুলিয়াসের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রিজু জানান, অভিভাবকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ওই দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।
কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আজিজার রহমান মাস্টার জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কথা বলে আমরা তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে সন্তোষজন জবাব না পেলে তাদেরকে স্থায়ী এভাবে বরখাস্ত করা হবে।