তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে চরম অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে তার অন্যতম প্রধান কারণ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের দখলদারিত্ব। শনিবার (২০ এপ্রিল) ইস্তাম্বুলে মিশরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরির সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মিশরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মুহূর্তে তুরস্ক সফরে রয়েছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) তিনি তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। এরপর উভয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সম্মেলনে গাজায় চলমান ইসরাইলি গণহত্যা ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে কথা বলেন তারা।
ফিদান বলেন, আমরা গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য আরও কী করা যেতে পারে এবং সংঘাত নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। শুকরি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ইস্যুকে নিষ্ক্রিয় করার যে কোনও প্রচেষ্টা আমাদের এড়ানো উচিত।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুকরি অবরুদ্ধ গাজার সীমান্তে ইসরাইলি ক্রসিংগুলো খোলার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, আমাদের দাবি, গাজার সাথে ছয়টি ইসরাইলি ক্রসিং রয়েছে, মানবিক ত্রাণ সহায়তার জন্য সেগুলো উন্মুক্ত করা হোক।
গাজা সংঘাতের প্রেক্ষিতে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে তা বন্ধে উভয় পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বানও জানান এই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বহু বছরের ছায়াযুদ্ধ থেকে বেরিয়ে এসে সরাসরি সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে তেহরান ও তেল আবিব।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত প্রায় সাত মাস ধরে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। শনিবার (২০ এপ্রিল) এই হত্যাযজ্ঞ ১৯৭তম দিনে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৪৯ জনে। আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজার ৯০১ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৭ হাজার।