ইসরাইল ইরানের ইসফাহানে হামলা চালানোর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও নিন্দা জানায়নি। বরাবরের মত গৎবাধা কথা বলছেন সবাই, দুপক্ষকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইইউসহ বিভিন্ন দেশ।
সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। জবাবে ইসরাইল ইরানের ইসফাহানে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। তবে ইরান সরকার তা অস্বীকার করেছে। ইসরাইলের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি।
বেশ কয়েকটি দেশ এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে। এ অবস্থায় উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে বিভিন্ন দেশ।
ইসরাইলের পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে প্রথমে মুখই খুলতে চায়নি। ইতালিতে জি সেভেন বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে সাংবাদিকরা কয়েকবার হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। পরে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো হামলার সঙ্গে জড়িত নয়।
ইসরাইলকে আত্মরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করে যাবে বলেও জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে ইসরাইলের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাননি ব্লিঙ্কেন।
ইরান বসে থাকবে না, আরও জোরেশোরে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলে অবস্থানরত মার্কিন কর্মীদের ব্যক্তিগত কাজে তেল আবিবের বাইরে ভ্রমণ না করার নির্দেশনা জারি করেছে।
ইরানের হামলা নিয়ে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ অঞ্চলে সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা প্রসারিত করার পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছে মিশর।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে, এমন পদক্ষেপ থেকে যেন দুইপক্ষই বিরত থাকে। এক বিবৃতিতে দেশটি বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করা এবং একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, চীন প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো চিহ্নিত করেছে এবং উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এমন যেকোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করে বলেছেন, প্রত্যেককেই এখন নিশ্চিত করতে হবে, অদূর ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যে যেন আর আর কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।
মস্কো বলেছে, ইরানে ইসরাইলের হামলার তথ্য বিশ্লেষণ করছে রাশিয়া। উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইতালি সবপক্ষকেই উত্তেজনা কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়াও কানাডা, ফ্রান্স, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি ইসরাইলের এ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানায়নি।