শাহ মাঃ আব্দুল মোমেন,রৌমারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি।।
‘ওয়াহিদ, কাদের, মাহফুজ সিপাহী শহীদ-আমরা তোমাদের ভুলি নাই” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ১৮ এপ্রিল বড়াইবাড়ী দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্তে বিডিআর ও বিএসএফ এর সংঘর্ষের বর্ষপূর্তি আজ ২৪ বছর পূর্ণ। এ উপলক্ষ্যে বড়াইবাড়ি দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়। সকাল ১১টায় বর্ণাঢ্য র্যালী, বীর শহীদদের প্রতি বড়াইবাড়ি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ,আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদদের স্মরণে নির্মিত বড়াইবাড়ি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক করেন- মোঃ রুহুল আমিন সাবেক সাংসদ সদস্য,২৮ কুড়িগ্রাম-৪, বারবান্দা সূর্য্য সংঘ, জাতীয় পার্টি জেপি,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রৌমারী উপজেলা শাখা,বারবান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিবিসি উচ বিদ্যালয়, কলাবাড়ি বিবিসি উচ বিদ্যালয়, শহীদ পরিবার, বারবান্দা ও চুলিয়ারচর গ্রামবাসি সহ বিভিন্ন সংগঠন। পরে মো: রুহুল আমিন সাবেক সাংসদ,২৮ কুড়িগ্রাম-৪ এর সভাপতিত্বে এক আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমান আলী,বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো: মোজাফফর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতি,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা, শহীদ সিপাহী মাহফুজ এর ভাই মাহমুদুর হাসান,শহীদ সিপাহী আব্দুর কাদের এর স্ত্রী শাফিয়া বেগম,রাজিবপুর সহকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক আলহাজ্ব লুৎফর রহমান,রৌমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান বঙ্গবাসী,
চরশৌলমারী ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক মন্ডল,রৌমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম শালু,ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক,বিবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাফফর হোসেন,ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমেদ,সাইফুল রহমান লাল,খালেক মাষ্টারসহ প্রমূখ।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মো: আবু তালেব মাষ্টার।
আলোচনা সভায় বক্তাগণ ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধে নিহতদের শহীদ হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান, শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগীতা,দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন,স্মৃতিসৌধ নির্মান,বড়াইবাড়ীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন,বড়াইবাড়ী এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলাসহ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করার দাবী জানান।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, ২০০১ সাল এই দিনে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বড়াইবাড়ী বিজিবি ক্যাম্প দখল নেওয়ার জন্য গ্রামে ঢুকে নারকীয় তান্ডব চালায়। অকুতভয় বিডিআর ও গ্রামবাসীদের মিলিত প্রতিরোধ পর্যুদস্ত হয় আগ্রাসনকারী বিএসএফ। নিহত হয় বাংলাদেশের তিন বীর বিডিআর জোয়ান। ভারতীয় পক্ষে নিহত হয় ১৬ বিএসএফ সদস্য। সেই থেকেই ১৮এপ্রিল ঐতিহাসিক এই দিনটি পালিত হয় ‘বড়াইবাড়ী দিবস’ হিসাবে।