নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে তাকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনসহ ছয় বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন আনন্দ এস জান্দালে নামে এক আইনজীবী।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ ও ইকোনমিক টাইমস। আদালতের কাছে ওই আইনজীবী আবেদন করেছেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘনের অপরাধে প্রধানমন্ত্রীকে ছয় বছরের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ঘোষণা করা হোক।
আইনজীবী আনন্দ এস জান্দালে তার আবেদনে গত ৯ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের পিলিভিতে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় নরেন্দ্র মোদির এক বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ওই বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ভোটারদের কাছে ‘হিন্দু, শিখ দেবতা ও হিন্দু উপাসনালয়ের’ নামে বিজেপিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রামমন্দির ও কর্তারপুর সাহিব করিডোর তৈরির কথা বলেছেন। এগুলো নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।
ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে, কোনো দল বা প্রার্থী এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবেন না যা বিদ্যমান মতভেদ বাড়াতে পারে বা পারস্পরিক বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে পারে কিংবা বিভিন্ন জাতি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় বা ভাষাগত উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
এর আগে, তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলিতে এক জনসভায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষে মোদি তামিলনাড়ুকেন্দ্রিক একটি প্রতিশ্রুতি দেন। সেখানে তিনি প্রাচীন তামিল দার্শনিক ও কবি ‘তিরুভাল্লুভার’ নামে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করেন এবং শ্রীলঙ্কাকে কাচ্চাথিভু ‘দিয়ে দেয়ায়’ কংগ্রেস ও বর্তমান ক্ষমতাসীন দল দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগামকে (ডিএমকে) ‘পাপী’ বলে আখ্যা দেন।