শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি।।
বড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঈদের দিন সন্ধ্যায় দুই দফা হামলা করে বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছন এক যুবলীগ নেতা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তাই আবারও হামলার শিকার হওয়ার আশংকায় গোটা পরিবার এক সপ্তাহ ধরে বাড়ি ছাড়া বলে দাবি করেছেন আক্রান্ত হাসান আলী।
হাসান আলী উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ক্ষিদির হাসড়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি তার প্রতিবেশী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রশিদ সরকারের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ক্ষিদির হাসড়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. হাসান আলীর সাথে প্রতিবেশি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রশিদ সরকারের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। দুই বাড়ির সীমানা প্রাচীরের গোড়ায় ইট ঢেকে দেয়ার জন্য মো. আনোয়ার হোসেন মাটি দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈদের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রশিদ সরকার তার বাহিনী নিয়ে ভুক্তভোগী হাসান আলীর বাড়ির ভিতরে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে অতর্কিত ভাবে দুই দফা হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে শিশু আয়শা সিদ্দিকা (৪), মোছা. মমতা বেগম (৫০), মোছা. জবেদা বেগম (৭০), বিউটি বেগম (৪৫) আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার শেরপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে হাসান বাদী হয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রশিদ সরকার সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলেও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি পুলিশ।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রশিদ সরকার বলেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আমাদের জায়গায় দখলের উদ্দেশ্যে মাটি ফেললে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতে কথা বলতে গেলে তারা আমাদের লোকজনদের মারধর করে। আমাদের বিরুদ্ধে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।“