ইরানের হামলার জবাব দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলি সেনাপ্রধান হারজি হালেভি। খবর আল জাজিরার।
শনিবার (১২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাতে ইসরাইলে আঘাত হানে ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। সিরিয়ায় থাকা নিজেদের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালায় দেশটি। এ ইস্যুতে বেশ উত্তপ্ত হয়েওঠেছে বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গন।
এ হামলায় তেহরান ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করলেও ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিমান ঘাঁটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত এবং এক শিশু গুরুতর আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে তেল আবিব।
ইরানের এ হামলা পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার দক্ষিণ ইসরাইলের নেভাটিম বিমানঘাঁটি পরিদর্শনে যান ইসরাইলি সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ হারজি হালেভি। সেখানে তিনি বলেন, ইসরাইলি ভূখণ্ডে এত ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোন হামলার জবাব দেয়া হবে।
তবে হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি তিনি।
অন্যদিকে, ইসরাইলে হামলার ৭২ ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে সতর্ক করার দাবি করেছে ইরান। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, ‘আমাদের অভিযানের ৭২ ঘণ্টা আগে বন্ধু ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে জানিয়েছি যে, ইসরাইলকে অবশ্যই জবাব দেবে ইরান, যা বৈধ এবং এড়ানোর উপায় নেই।’
বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে একটি বৈঠকে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রকেও জানানো হয়েছে যে, ইসরাইলে ইরানের হামলা হবে সীমিত এবং আত্মরক্ষামূলক।
কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি অস্বীকার করে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, এটি একেবারেই সত্য নয়। হামলার বিষয়ে ইরান কোনো ধারণা দেয়নি, কোনো নোটিশ দেয়নি। তারা এমন কোনো ধারণা দেয়নি যে, ‘যারা এর লক্ষ্যবস্তু হবে, তাদের সরিয়ে দিন’।
হামলা শুরু হওয়ার পরই তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।