ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) হাতে আটক ইসরাইলি জাহাজের ১৭ জন ভারতীয় নাবিকের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে ইরান। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইরান ও ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তারপরেই জয়শঙ্করের প্রস্তাবে ভারতীয় নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেয় ইরান।
এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জয়শঙ্কর এ ব্যাপারে সহযোগিতার অনুরোধ করেন। তিনি ভারতীয় নাবিকদের সম্পর্কে ফোনালাপে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, আমরা জব্দ করা জাহাজের খোঁজখবর নিচ্ছি। খুব শিগগিরই ভারতের প্রতিনিধিরা তাদের দেশের নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ১৭ নাবিকের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করতে দেয়া হবে। পাশাপাশি, নাবিকদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিরাপদে তাদের পরিবারের কাছে ফেরানো হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
ইরানের হাতে জব্দ ইসরাইলি জাহাজে ভারতীয়রা রয়েছেন, এমন সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই তাদের মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি।
জয়শঙ্কর দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সংযম দেখানোর অনুরোধ করেন। এ অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি যাতে না ঘটে তা দেখার জন্য দুদেশের কাছেই আহ্বান জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উত্তেজনার মধ্যে শনিবার (১৩ এপ্রিল) পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালীর কাছ থেকে ১৭ জন ভারতীয় নাবিকসহ একটি ইসরাইলি জাহাজ জব্দ করে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)।
এদিকে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে প্রথমবারের মতো নিজেদের ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এ হামলার পর ইরানের ওপর পাল্টা হামলা চালাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সায় না পেয়ে চুপ হয়ে গেছে ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা।
রোববার (১৪ এপ্রিল) দেশটির যুদ্ধ মন্ত্রিসভা বৈঠক করেছে। তবে ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেবে তা জানায়নি। কীভাবে এবং কখন এই পাল্টা হামলা হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানি হামলার জবাব দেয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করতে অন্তত ৩ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছে ইসরাইলি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা। তবে এই দীর্ঘ বৈঠকেও ৫ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা জবাব দেয়ার সময় ও ধরন নির্ধারণ করতে পারেনি।