অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এবার পারিবারিক ভিসার শর্ত কঠোর করেছে যুক্তরাজ্য। বাড়ানো হয়েছে ন্যূনতম আয়ের সীমা। অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেয়া পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) যুক্তরাজ্যের সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এবং নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন-এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যারা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের এখানে আনার জন্য স্পন্সর হতে চান, তাদের বাৎসরিক উপার্জন কমপক্ষে ২৯ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৯ লাখ ৮৪ হাজার ১০০ টাকা) হতে হবে।
আগে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৬০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৯ টাকা)। অর্থাৎ শতকরা হিসেবে অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী বছর ২০২৫ সালে এই অংক ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৩ লাখ ১৬ হাজার ৭১২ টাকা) উন্নীত করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০২৩ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় কড়াকড়ি আরোপ করেছিল দেশটির সরকার।
সরকারি বিবৃতি প্রকাশের পর পৃথক এক বিবৃতিতে জেমস ক্লিভারলি বলেন, ‘অভিবাসন ইস্যুতে আমরা চরমসীমায় পৌঁছে গেছি। এমন কোনো সমস্যা আমরা দীর্ঘদিন চলতে দিতে পারি না, যা যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জীবনযাত্রা ও কর্মসংস্থানকে সংকটের মুখে ফেলতে পারে। তাই বাধ্য হয়েই আমাদের কঠোর হতে হচ্ছে।
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিবাসীদের পরিবার যেন যুক্তরাজ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে। কারও ওপর নির্ভর করতে না হয়, তা নিশ্চিত করতেই আয় সীমা বাড়ানো হয়েছে৷ কর্মক্ষেত্র থেকে অর্জিত আয় আর সঞ্চয় মিলিয়েও এই শর্ত পূরণের সুযোগ থাকবে অভিবাসীদের৷