ঘরের মাঠে এগিয়ে যেতে সময় নেয়নি আর্সেনাল। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মিকেল আর্তেতার দল। উল্টো জোড়া গোল হজম করে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধে লিন্দ্রো টোসার্ডের গোলে সমতা ফেরায় গানাররা। কিন্তু জয় পায়নি কোনো দলই।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে আর্সেনাল।
ঘরের মাঠে লিড নিতে ১২ মিনিট লেগেছে আর্সেনালের। বেন হোয়াইটের দারুণ পাসে ঠাণ্ডা মাথার নিখুঁত বাঁকানো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন বুকায়ো সাকা। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার।
এগিয়ে যাওয়ার একটু পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল আর্সেনাল। তবে নয়ারকে একা পেয়েও তার বরাবর শট নিয়ে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন হোয়াইট।
অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে গিয়ে অষ্টাদশ মিনিটে সমতা ফেরায় বায়ার্ন। তবে এই গোলে দায় আছে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল মাগালিয়াইসের। মাঝমাঠে বল পেয়ে নিজেদের ডি-বক্সের অনেকটা এগিয়ে মাঝমাঠেই ফেরত পাঠান ব্রাজিলিয়ান তারকা। তার বাজে পাস ছিল সতীর্থের নাগালের বাইরে। বল পেয়ে যান লেরয় সানে। তার পাস পেয়ে লেয়ন গোরেটস্কা খুঁজে নেন গ্যানাব্রিকে। ছুটে গিয়ে দারুণ স্লাইডে জাল খুঁজে নেন তিনি।
আর্সেনালের রক্ষণেরই আরেকটা ভুলে ৩২তম মিনিটে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। সফল স্পট কিকে এমিরেটস স্টেডিয়ামে ক্লাব ফুটবলে নিজের ষষ্ঠ গোলটি করেন কেইন। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বায়ার্নের হয়ে এটি কেইনের ৩৯তম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলে অনেকটা একই তালে। বল দখলে এগিয়ে আর্সেনাল। পাল্টা আক্রমণে স্বাগতিকদের রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে বায়ার্ন। তবে কোনো দলই পারছিল না খুব একটা পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে।
৭৬ মিনিটে আর্সেনালের হয় সমতা ফেরান ট্রোসার্ড। ডি-বক্সের ভেতরে জটলা থেকে গাব্রিয়েল জেসসু খুঁজে নেন অরক্ষিত ট্রোসার্ডকে। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে বুলেট গতির শটে ডানদিকের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন তিনি। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় সমতায় সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুদলকে।