সাবেক সুন্দরী ও বচ্চন বধু ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন বাড়ি ছেড়েছেন অনেকদিন হলো। বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবারের সবার সাথে দেখা হলেও সেই হৃদ্যতা যেন হারিয়ে গেছে। ঐশ্বরিয়ার জন্মদিনে বচ্চন বাড়ি থেকে কোনো আয়োজন ছিল না। স্বামী অভিষেকও কিছু করেননি। এবার শাশুড়ির জন্মদিনে ঐশ্বরিয়ার পক্ষ থেকে কোনো আয়োজন ছিল কিনা এমন প্রশ্ন নেটিজেনদের।
বলিউডের এক সময়ের খ্যাতি ছড়ানো অভিনেত্রী জয়া বচ্চন ৭৬-এ পা দিয়েছেন। তবে সময় গড়ালে নেটপাড়ায় তাকে ‘রাগী আন্টি’ কিংবা ‘খিটখিটে’ হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে। তবে অমিতাভ ঘরনি নিজের মতোই বাঁচেন। কারও কোনো কথাই পাত্তা দেন না।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সারা দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। বাদ যায়নি পরিবারের সদস্যরাও। জয়ার জন্মদিনের সবচেয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন একমাত্র ছেলে অভিষেক বচ্চন। স্মৃতিকাতর করে তুলেছেন মাকে, বহু পুরোনো সাদা-কালো ছবি শেয়ার করে জুনিয়র বচ্চন লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন মা, অনেক ভালোবাসা’।
জয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জীবন সঙ্গী অমিতাভ বচ্চনও। ‘নানি’ জয়ার সঙ্গে মিষ্টি ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্বেতা–কন্যা নভ্যা নাভেলি। এ ছাড়া কাজলসহ বলিউডের অনেকেই ইন্ডাস্ট্রির জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রীকে ৭৬তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের শুভেচ্ছা বার্তা কিংবা কোনো আয়োজনের ছিটেফোটা দেখা যায়নি।
কমবেশি সবসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকেন সাবেক সুন্দরী। কিন্তু শাশুড়ির জন্মদিনে তার এমন আড়াল থাকা, অনেকের মনে নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই ধরেই নিচ্ছেন তাহলে বচ্চন পরিবারে তাকে নিয়ে তৈরি হওয়া পারিবারিক সমস্যা আসলেই সত্যি!
সিনেমা জগতে অনবদ্য অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে ভারত সরকার জয়াকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রীতে’ ভূষিত করেন। ২০০৭ সালে তিনি ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছন জয়া, এর মধ্যে তিনটি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে, তিনটি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে।