গাজার রাফাহতে হামলা চালানো হবে এবং সেই হামলার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু জানান, অভ্যন্তরীণভাবে রাফাহতে হামলার সময় নিয়ে একমত হয়েছে তার সরকার। কিন্তু তা কবে এবং কখন সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। নেতানিয়াহু বলেন, রাফাহ থেকে হামাসকে উৎখাত করতে সেখানে পরিকল্পিত হামলা চালানো প্রয়োজন।
মিসরে জিম্মি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে আলোচনা চলার মধ্যে এ মন্তব্য করলেন নেতানিয়াহু। বলেন, গাজায় আমাদের জয় নির্ভর করছে রাফাহতে হামলা চালানো এবং হামাসকে ধ্বংস করার ওপর। সুতরাং হামলা হবে এবং একটি তারিখ ঠিক করা হয়েছে।
গাজার দক্ষিণের শহর রাফাহতে বেশ কিছুদিন থেকেই হামলার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়ে আসছে ইসরাইল। এই শহরটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিশ্ব নেতারা রাফাহতে হামলা না চালাতে ইসরাইলকে সতর্ক করে আসছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) একটি যৌথ বিবৃতিতে মিসর, ফ্রান্স এবং জর্ডানের নেতারা ইসরাইলকে সতর্ক করেছেন এই বলে যে রাফাহতে এই হামলার পরিণতি হবে বিপজ্জনক এবং তাতে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
একই সময়ে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন যে জিম্মিদের বিষয়ে একটি চুক্তির জন্য এখনই সঠিক সময়।
এদিকে সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস কায়রো আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। তার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পক্ষে ইসরাইলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ আরও তীব্র হবে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন থেকে রাফাহতে হামলার বিরোধিতা করে আসছে।