সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার বের্নার্দো সিলভা। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবল শিরোপা জয়ে দারুণ অবদান ছিল এই পর্তুগিজের। তবে মৌসুম শেষেই তার ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ইতিহাদ স্টেডিয়ামেই থেকে যান। এবারের মৌসুমও প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। আর মাত্র মাস দুয়েক পর খুলে যাবে দলও বদলের জানালা। বার্নার্দো সিলভার ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের শুরু হয়েছে কানাঘুষা। আগামী মৌসুমে লা লিগায় পাড়ি জমাতে পারেন ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
সিটিজেনদের হয়ে প্রায় সবকিছুই জিতেছেন বের্নার্দো সিলভা। এই নিয়ে সাত মৌসুম আছেন ইতিহাদে। তবে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী সিলভা। আর সেই ক্ষেত্রে তার পরবর্তী ক্লাব হতে পারে বার্সেলোনা – এমনটাই দাবি পর্তুগাল দলে তার সতীর্থ জোয়াও ফেলিক্সের।
ফেলিক্সের দাবি, সিলভা প্রায়ই তার কাছ থেকে বার্সেলোনা ক্লাব ও শহরটি কেমন তা নিয়ে জানতে চান। তার মতে, সিলভা লা লিগার ক্লাবটিতে যোগ দিতে চান। এ বিষয়ে ফেলিক্স জানান, তিনি সিলভাকে বার্সেলোনায় আসার ব্যাপারে এতোটাই আগ্রহী করে তুলেছেন যে, যদি শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি হয় তবে তিনি কমিশন চাইবেন।
এই মৌসুমের শুরুতেই ম্যানসিটি ছাড়তে চেয়েছিলেন সিলভা। শৈশবকাল থেকেই বার্সেলোনায় খেলার স্বপ্ন দেখতেন সিলভা। কিন্তু তার উচ্চমূল্য এই ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
সিলভার বার্সেলোনায় আসা প্রসঙ্গে কাতালুনিয়া রেডিওকে ফেলিক্স কৌতুক করে বলেন, ‘যদি বের্নার্দো সিলভা আসেন (বার্সেলোনায়), আমি কমিশন চাইব।’ তিনি বলেন, ‘আমি যা বলছি তার পুরোটাই সত্যি এবং সে যদি আসে তারা (বার্সেলোনার খেলোয়াড়) দারুণ খুশি হবেন।’
সিলভা আরও যোগ করেন, ‘সে সবকিছু নিয়ে সতর্ক এবং এ আমাকে থাকার জায়গার বিষয়ে প্রশ্ন করেছে। খাওয়ার জায়গা নিয়ে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও……সে আমাকে সবকিছু নিয়েই একটুআধটু প্রশ্ন করে এবং আমি তাকে করের ব্যাপারটা বলি কারণ এটা ভাবার বিষয়।’
ফেলিক্সকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কি তার সতীর্থকে ক্লাবটিতে যোগ দেয়ার বিষয়ে রাজি করিয়ে ফেলেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফেলিক্স বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমার তাই মনে হয়। তবে আমি মনে করি, ব্যাপারটা আর তার ওপর নির্ভর করছে না।’
সিলভা চাইলেই অবশ্য এই মৌসুমে বার্সেলোনায় আসতে পারছেন না। এ বিষয়ে প্রধান বাধা ক্লাবটির আর্থিক দুরাবস্থা। ২০২৬ সাল পর্যন্ত ম্যানসিটির সঙ্গে চুক্তি আছে সিলভার। তবে আগামী গ্রীষ্মেই ক্লাবটি সিলভার জন্য ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড রিলিজ ক্লজ যুক্ত করবে। অর্থ্যাৎ কোন ক্লাব চাইলে এই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করলেই সিলভাকে দলে ভেড়াতে পারবে।