আসামিদের কাছ থেকে ৯ কিলোগ্রাম গাঁজা ও ১০ কিলোগ্রাম ভাং জব্দ করেছিল পুলিশ। কিন্তু মালখানায় রাখা সেসব আলামত নষ্ট করে ফেলেছে ইঁদুর। যার ফলে আলামত আদালতে পেশ করতে পারেনি তারা।
সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছে ভারতের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার একটি থানার পুলিশ। পুলিশ বলেছে, আলামতের গাঁজা ও ভাং ইঁদুর নষ্ট করে ফেলায় সেগুলো আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। মামলা সংশ্লিষ্ট এক আইনজীবী রোববার (৭ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা পিটিআইকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ছয় বছর আগে জব্দ করা ভাং ও গাঁজা হাজির করার জন্য রাজগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্থানীয় আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৬ এপ্রিল) প্রধান জেলা ও দায়রা জজ রাম শর্মার কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থানার মালখানায় (স্টোর) মজুত করা মাদকদ্রব্য সম্পূর্ণ নষ্ট করে ফেলেছে ইঁদুর। এ ব্যাপারে থানায় একটি রিপোর্টও করা হয়েছিল।
২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর ১০ কেজি ভাং এবং ৯ কেজি গাঁজাসহ শম্ভু প্রসাদ আগারওয়াল ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করে রাজগঞ্জ পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও দায়ের করা হয়।
বিচারকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়প্রকাশ প্রসাদকে জব্দ করা ভাং ও গাঁজা গত ৬ এপ্রিল আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী অভয় ভাট বলেছেন, জয়প্রকাশ প্রসাদ শনিবার রাজগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার একটি আবেদন নিয়ে আদালতে হাজির হন। তারা বলছেন, সব বাজেয়াপ্ত সামগ্রী নাকি ইঁদুরে নষ্ট করে ফেলেছে।
অভয়ের দাবি, তার মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কারণ পুলিশ জব্দ করা জিনিসগুলো দেখাতে পারেনি।