ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি লেখক, অধিকারকর্মী ওয়ালিদ দাক্কা মারা গেছেন। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইসরাইলের শামির মেডিকেল সেন্টারে মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্যালেস্টিনিয়ান কমিশন অব ডিটেইনিস অ্যান্ড এক্স-ডিটেইনিস অ্যাফেয়ার্স। রোববার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের ফিলিস্তিন–অধ্যুষিত বাকা আল গারবিয়ে শহরের বাসিন্দা ওয়ালিদ দাক্কা। তিনি ৩৮ বছর ধরে ইসরাইল কারগারে বন্দি ছিলেন।
তবে প্যালেস্টিনিয়ান কমিশন বলেছে, ওয়ালিদকে ‘ধীরে ধীরে হত্যা’র নীতি প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে। ইসরাইলি কারাগার কর্তৃপক্ষ বন্দিদের বিরুদ্ধে ‘ধীরে ধীরে হত্যা’র নীতি প্রয়োগ করে থাকে।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে ওয়ালিদকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইলি কারাগারে দাক্কার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
১৯৮৬ সালে এক সেনাকে হত্যার দায়ে ওয়ালিদকে গ্রেফতার করে ইসরাইল সরকার। তখন থেকেই তিনি ইসরাইলি কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থেকেই কয়েকটি বইও লিখেছেন, এর মধ্যে শিশুদের নিয়ে লেখা একটি বই আছে।
কারাবন্দী অবস্থাতেই ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন ওয়ালিদ দাক্কা। ২০২০ সালে তার স্ত্রী সানা সালামেহ এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কারাগার থেকেই গোপনে শুক্রানু স্থানান্তর করেছিলেন ওয়ালিদ। তাদের সন্তানের নাম মিলাদ।