মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কামিকাজি ড্রোন, যা দেখে রীতিমতো হতবাক জান্তা সরকার। সম্প্রতি দেশটির রাজধানীতেই সরকারের শীর্ষ নেতাদের বাসভবন, সেনাসদর দফতর এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিতেই একযোগে এ হামলা চালায় বিদ্রোহীরা।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর একের পর এক হামলায় রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সব শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর এবার রাজধানী নেপিদো দখলে নিতে মরিয়া বিদ্রোহীরা। চলছে তীব্র লড়াই।
এরমধ্যেই সম্প্রতি জান্তা সরকারের শীর্ষ নেতাদের বাসবভবন, সেনাবাহিনীর সদর দফতর এবং বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে বিদ্রোহীরা। এমনকি নেপিদো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করেও চালানো হয় হামলা।
দুর্ধর্ষ এসব হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কামিকাজি ড্রোন, যা দেখে রীতিমতো হতবাক জান্তা সরকার। বিদ্রোহীরা কোথায় পেলো অত্যাধুনিক এ অস্ত্র? তার সন্ধান খুঁজে পাচ্ছে না জান্তা বাহিনী। তাদের ধারণা, বিভিন্ন শহর নিয়ন্ত্রণের পর এবার রাজধানী দখলে নিতে চায় বিদ্রোহীরা। আর এজন্য দুর্ধর্ষ সব ড্রোনের পাশাপাশি ব্যবহার করা হতে পারে অত্যাধুনিক এ অস্ত্র।
এদিকে, তিন বছর আগে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সামরিক সরকার আরও একটি বড় পরাজয়ের মুখে পড়েছে। এবার পূর্বাঞ্চলীয় থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছে জান্তা বাহিনী। সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিলে কয়েক সপ্তাহ ধরে হামলা চালিয়ে আসছিল জাতিগত কারেন বিদ্রোহীরা।
বিদ্রোহীদের তীব্র হামলার মুখে সীমান্তবর্তী মায়াওয়াদ্দির শহরের শত শত সেনা বাধ্য হয় আত্মসমর্পণে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমারের স্থল বাণিজ্যের বেশিরভাগই হয়ে থাকে এই শহরের মাধ্যমে। তাই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ হারানোর মাধ্যমে জান্তা সরকারের অস্তিত্ব গভীর সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন দেশটির নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।