এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চায় চীন। শুধু ভারত নয়, এই পরিকল্পনায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনও। মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য।
ভারতে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে দলগুলো। নির্বাচনে জয় পেতে ভোটারদের কাছে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নেতারা। এরমধ্যেই এবার লোকসভা নির্বাচন নিয়ে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য দিলো মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট।
নিজেদের স্বার্থ হাসিলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চায় চীন। শুধু ভারতই নয়, এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনও। গত জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ঠিক একইভাবে এআই ব্যবহার করে নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে।
মাইক্রোসফটের প্রতিবেদন মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারত বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের নির্বাচনের ফলাফলে আপাতত কোনো প্রভাব ফেলতে না পারলেও, এ বিষয়ে চীন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাবে। এছাড়া লক্ষ্য পূরণ করতে নিজেদের প্রযুক্তি উন্নয়নের দিকেও শি জিনপিং প্রশাসন নজর দিচ্ছে বলে জানানো হয়।
এদিকে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ ২০২৪ সালে বিশ্বের ৬৪টি দেশে নির্বাচন। এছাড়া এবছর ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও ভোট হওয়ার কথা। সব মিলিয়ে নির্বাচনে গোটা বিশ্বের ৪৯ শতাংশ মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করবেন।
চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আসন্ন নির্বাচনগুলোর কলকাঠি নেড়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে তারা। মাইক্রোসফটের রিপোর্ট অনুযায়ী, চীন সরকারের হ্যাকাররা উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের সঙ্গে মিলে ২০২৪ সালে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাচ্ছে।
শুধু নির্বাচনেই নয়, ২০২৩ সালের জুন থেকে চীন ও উত্তর কোরিয়া থেকে টানা সাইবার আক্রমণ চালানো হচ্ছে। নিজেদের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি আরও বাড়াতে গত বছরের শেষ দিকে ভারত, ফিলিপিন্স, হংকং ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক মহড়ায়ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ রয়েছে শি জিনপিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে।