স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর তার দেহ ২০০টিরও বেশি টুকরো করে প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে রেখে দেন ফ্রিজে। তার পর মোবাইলে সার্চ করলেন-স্ত্রীকে হত্যা করে কী সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া তাকে কেউ তাড়িত করতে পারে কি না।
রোববার (৭ এপ্রিল) এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর ব্রিটেনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
পুলিশ বলছে, গত মার্চে স্ত্রীকে হত্যা করেন অভিযুক্ত ২৮ বছরের নিকোলাস মেটসন। দেহ কাটেন ২০০-র বেশি টুকরো করে। সেগুলো ফ্রিজে রেখে দেন। এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে দেহের টুকরোগুলো তিনি ফেলে দেন নদীতে। পরে সেখান থেকে তা উদ্ধার করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ২২৪টি টুকরো উদ্ধার করা গেছে। আরও কিছু টুকরোর সন্ধান মেলেনি।
নিকোলাস মেটসন (২৮) নামের ব্যক্তিটি স্ত্রী হলি ব্রামলিকে (২৬) হত্যার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও এক সপ্তাহ পর তা স্বীকার করেন। তার বাসায় পুলিশ তদন্তে এলে তিনি তাদের সঙ্গেও মজা করেন। তিনি বলেন, তার স্ত্রী খাটের নিচে লুকিয়ে থাকতে পারে।
স্ত্রীকে হত্যার পর তার শরীরের বিভিন্ন অংশ অপসারণের জন্য এক বন্ধুকে ৫০ পাউন্ড দিয়েছিলেন। সেই বন্ধু একটি টেক্সটের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘একটি মরদেহ অপসারণের জন্য মাত্র ৫০ পাউন্ড পেয়েছি।’
পুলিশ জানিয়েছে, ভিতাম নদীর পাশ দিয়ে একজন হাঁটার সময় মরদেহ রাখা প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো দেখতে পান। একটি ব্যাগে হাত বেরিয়ে ছিল। পরে ডুবুরিরা শরীরের ২২৪টি টুকরো খুঁজে পেয়েছেন। এখনো কিছু অংশ নিখোঁজ। মরদেহটি এমনভাবে কাটা হয়েছিল যে মৃত্যুর কারণ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ছিল বলে আদালতে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
পুলিশ আরও জানায়, স্ত্রীকে শোয়ার ঘরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন মেটসন। তার পর কাটা হয় দেহ। বাড়ি থেকে রক্তমাখা কাপড়, বিছানার চাদর উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ পচার গন্ধ ঢাকতে ঘরে অ্যামোনিয়ার কড়া গন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মেটসন।
হত্যার পর মোবাইলে তিনি দুটি বিষয় সার্চ করেছিলেন। স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কী কী সুবিধা পেতে পারেন, তা জানার জন্য গুগলের সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। কেউ মারা গেলে ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসতে পারে কি না, তা-ও সার্চ করেন তিনি।
এদিকে ব্রামলির মা আদালতকে জানান, তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে মাত্র ১৬ মাস হয়েছে। তিনি তার মেয়ের জামাইকে ‘দানব’ বলে আখ্যা দেন। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে আমার কাছে অনেক দিন আসতে দিত না। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার অবস্থায় ছিল, এমন সময় হত্যা করা হয়েছে।