বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। সংগত কারণেই জ্যোতির্বিদ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এটি নিয়ে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তবে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না বলে এরইমধ্যে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
জানা গেছে, সূর্যগ্রহণের স্থায়িত্ব ও দৃশ্যমানতা ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার দর্শকরা ভালোভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ উপভোগ করতে পারবেন। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে বাংলাদেশের মানুষও এ ঘটনা লাইভ (সরাসরি) উপভোগ করতে পারবেন।
বিরল এ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কারণে সোমবার (৮ এপ্রিল) মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার।
যেসব জায়গায় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে:
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, নিউইয়র্ক, পেনসিলভানিয়া, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও মেইন অঙ্গরাজ্য থেকে পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সৈকত শহর মাজাটলানের কাছে দর্শকরা ভালোভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ উপভোগ করতে পারবেন। এসব জায়গায় উৎসাহী ব্যক্তিরা এরই মধ্যে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
যেভাবে লাইভ দেখবেন
সূর্যগ্রহণের ঘটনাটি নাসা সরাসরি সম্প্রচার করবে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশাবলের মতে, ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসা এ ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে।
বাংলাদেশ থেকে রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত দেখা যাবে। এ ঘটনার লাইভ স্ট্রিম নাসার ইউটিউব চ্যানেল ও নাসাপ্লাস ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করবে।
৫৪ বছর পর এমন সূর্যগ্রহণ হওয়ায়, নাসার বিজ্ঞানীরা এই সূর্যগ্রহণকে ‘বিশেষ’ বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, আবার হতে পারে ২০৭৮ সালে।
নাসা জানিয়েছে, মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখা যাবে আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকো, পশ্চিম ইউরোপ প্যাসিফিক, আটলান্টিক, আর্কটিক, আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে। তবে বাংলাদেশ থেকে এ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।