ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বড় জয়ের স্বপ্ন দেখছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। তবে উল্টো চিত্র বিরোধী শিবিরে। ২৩৫টির বেশি আসনে এখনও প্রার্থীই চূড়ান্ত করতে পারেনি রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেস। ইন্ডিয়া জোটের বড় শরিক দলগুলোর সঙ্গেও হয়নি আসন নিয়ে কোনো সমঝোতা।
দড়জায় কড়া নাড়ছে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। প্রচার প্রচারণা আর ভোটারদের কাছে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।
‘এই বার মোদি সরকার-এই বার ৪০০ আসন পার’ লোকসভা নির্বাচনের আগে এভাবেই ভোটের বাদ্য বাজাচ্ছেন বিজেপি ও এনডিএ নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে এবং পরে এরইমধ্যে প্রায় ৩০টির বেশি সভা করেছেন। তবে উল্টো চিত্র বিরোধী শিবিরে। রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস ২৩৫টির বেশি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি।
পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশে ইন্ডিয়া জোটের জট যেমন রয়েছে তেমনই হরিয়ানা, পাঞ্জাব, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশেরমতো রাজ্যগুলোয় এখনও প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। জোটের বড় শরিক দলগুলোর সঙ্গেও আসন নিয়ে হয়নি কোনো সমঝোতা।
সবশেষ ২০১৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ৪১৯ আসনে প্রার্থী দিয়ে বিজেপির বিপক্ষে লড়েছিল। এবার সেই সংখ্যা থেকেও প্রায় অর্ধেকে নেমে ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে সবচেয়ে কম আসনে লড়তে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে প্রবীণ রাজনৈতিক দলটি।
শুধু কংগ্রেস নয়, ভোটের লড়াইয়ে বেহাল অবস্থা বামপন্থি দলগুলোরও। গেল নির্বাচনে ৬৯ আসনে প্রার্থী দিলেও এবার তা পার করেনি ৫০ এর কোটা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে দাঁড় না করিয়ে বিজেপিকে প্রায় ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক জোট ইন্ডিয়া। বিজেপি এবং তার শরিক দলগুলো এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের টার্গেট করা ৪০০ আসন ছুঁয়ে ফেললেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।