সরকারবিরোধী আন্দোলনে আবারও উত্তাল ইসরাইল। শনিবার (৬ এপ্রিল) নেতানিয়াহুর পদত্যাগ, দ্রুত নির্বাচন ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয় তেল আবিবের রাজপথ।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার ইসরাইলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগের পাশাপাশি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে তেল আবিবের রাজপথে নামেন হাজারো মানুষ। এ সময় ব্যানার ফেস্টুন হাতে ইসরাইলবিরোধী স্লোগান দেন তারা।
অনেকেই আবার দাবি জানান আগাম নির্বাচনের। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও জল কামান নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাল্টা জবাবে, পুলিশের সংঘর্ষের লিপ্ত হন আন্দোলনকারীরা। এ সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।
গেল বছর বিচার ব্যবস্থার বিতর্কিত সংশোধনের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে ইসরাইল। প্রতি সপ্তাহের শনিবার তেলে আবিবের রাজপথে বিক্ষোভ করা যেন এক প্রকার প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভূখণ্ডটির বাসিন্দাদের জীবনে। চলতি সপ্তাহে বিক্ষোভের সে আগুন আরও বেশি তীব্র হয়ে ওঠে জিম্মি মৃত্যুর খবরে।
এদিকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিয়েছে মিশর। রোববার (৭ এপ্রিল) কায়রোতে এই আলোচনা হওয়া কথা রয়েছে। এতে উপস্থিত থাকবেন মিশরের গোয়েন্দা প্রধান। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান বিল বার্নস এই আলোচনায় অংশ নেবেন।
তবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া অন্য কোন শর্ত মানা হবে না বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংঠনটির প্রধান ঈসমাইল হানিয়া জানান, যেকোন আলোচনা হতে হবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর ভিত্তি করে। পাশাপাশি অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে সব সেনা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তারা।
হামাসের অপর নেতা বাসিম নাঈম আল জাজিরাকে জানিয়েছিলেন, তারা তাদের প্রধান শর্তগুলো থেকে সরে আসবেন না। যার অর্থ গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি হতে হবে এবং ইসরাইলের সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
তিনি বলেন, বল আমাদের কোর্টে নেই। গাজা উপত্যকায় যারা দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে চায় বল তাদের কাছে।