ছয় মাসে গড়াল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় ইসরাইলি আগ্রাসন। তবুও থামছে না বর্বরতা। এরমধ্যে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিয়েছে মিশর। রোববার (৭ এপ্রিল) কায়রোতে এই আলোচনা হওয়া কথা রয়েছে। তবে হামাসের দাবি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া মানা হবে না কোনো শর্ত।
গাজায় ন্যাক্কারজনক হামলা বন্ধে রোববার মিশরের রাজধানী কায়রোতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে এক বৈঠক। এতে উপস্থিত থাকবেন দেশটির গোয়েন্দা প্রধান। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান বিল বার্নস এই আলোচনায় অংশ নেবেন।
তবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া অন্য কোন শর্ত মানা হবে না বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংঠনটির প্রধান ঈসমাইল হানিয়া জানান, যেকোন আলোচনা হতে হবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর ভিত্তি করে। পাশাপাশি অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে সব সেনা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তারা।
হামাসের অপর নেতা বাসিম নাঈম আল জাজিরাকে জানিয়েছিলেন, তারা তাদের প্রধান শর্তগুলো থেকে সরে আসবেন না। যার অর্থ গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি হতে হবে এবং ইসরাইলের সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
তিনি বলেন, বল আমাদের কোর্টে নেই। গাজা উপত্যকায় যারা দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে চায় বল তাদের কাছে।
এদিকে, গেল দু’সপ্তাহ ধরে উপত্যকাটির আল-শিফা হাসপাতালে নারকীয় তাণ্ডব চালানোর পর কামাল আদওয়ান হাসপাতালই হয়ে উঠেছে গাজার উত্তরাঞ্চলের অন্যতম চিকিৎসালয়। ছোট এই সেবাকেন্দ্রে ভিড় করছেন অসংখ্য রোগী। এ অবস্থায় শনিবার হাসপাতালটিতে পৌঁছায় বেশকিছু সরঞ্জামাদি।
তবে ইরেজ ক্রসিং দিয়ে ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোন সত্যতা মেলেনি। একইদিন অঞ্চলটিতে আকাশ পথে আরও ৮২টন ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর একটি ভিডিও প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে মিশরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ সহায়তা পাঠায় দেশটি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় গাজার হামাস। এতে অন্তত ১২০০ মানুষ নিহত হন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। আর ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এরপর থেকে ইসরাইলের টানা হামলায় গাজায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরাইল। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। ইসরাইলি হামলায় আহত হয়েছে ৭৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।