সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরাইলে আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়া তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা না দিতে সতর্ক করেছে।
গত সোমবার ( ১ এপ্রিল) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।এতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ অন্তত ১১ জন নিহত হন।
তেল আবিবের এই হামলাকে তেহরানের নেতারা নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করে এর কড়া জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
নিহত জেনারেলদের বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দাফন সম্পন্ন হয়। এদিন তেহরানে জানাজার নামাজে অংশ নেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। এসময়, হত্যার কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এই হত্যার জন্য কঠিন পরিণতি অপেক্ষা করছে ইসরাইলের জন্য।
কূটনৈতিক মিশনে হামলার ওই ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি ইসরাইল। তবে এরইমধ্যে অগ্নিগর্ভ হয়ে থাকা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি এ ঘটনায় আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাল্টা জবাব দিতে ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। তবে এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে তেহরান। বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা না দিতে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনীতি বিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সামাজিক মাধ্যম এক্স এ লেখেন, ওয়াশিংটনের কাছে পাঠানো এক লিখিত বার্তায় ইরান ‘যুক্তরাষ্ট্রকে নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা না দিতে সতর্ক করেছে।’
ইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আঘাত না পেতে একপাশে সরে দাঁড়ানো। তবে এর জবাবে তেহরানকে যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামোতে হামলা করতে নিষেধ করেছে মার্কিন প্রশাসন।
এদিকে ইরানের প্রতিশোধের ভয়ে এরইমধ্যে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে দখলদার ইসরাইল। সেনাবাহিনীর সব যুদ্ধ ইউনিটের ছুটি বাতিল করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
এক বিবৃতিতে ইসরাইল সামরিক বাহিনী জানায়, পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সেনাবাহিনীর সব যুদ্ধ ইউনিটের ছুটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে আইডিএফ। আইডিএফ এরই মধ্যে একটি যুদ্ধে (গাজা সংঘাত) রয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুসারে দেশের অভ্যন্তরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নিয়মিতভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।