ইকুয়েডর ও মেক্সিকোর মধ্যে চরম কূটনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দূতাবাসে পুলিশি অভিযান ঘিরে এরই মধ্যে ইকুয়েডরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মেক্সিকো।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে নিজেদের দূতাবাসে তল্লাশি চালিয়ে ইকুয়েডরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর সরকার।
দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে গত ডিসেম্বর মাস থেকে কুইটোতে মেক্সিকোর দূতাবাসে অবস্থান করছিলেন ইকুয়েডরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট হোর্হে গ্লাস।
সেই সঙ্গে মেক্সিকোয় রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন হোর্হে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সেই আবেদন অনুমোদন করে আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর সরকার। মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গ্লাসের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
এরপরই মেক্সিকোর দূতাবাসে অভিযান চালায় ইকুয়েডরের বিশেষ বাহিনী এবং হোর্হে গ্লাসকে গ্রেফতার করে। অভিযানের আগে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইকুয়েডর একটি সার্বভৌম দেশ এবং আমরা কোনো অপরাধীকে ছাড় দেব না।
এরপর মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর ইকুয়েডরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন। এক্স-এ এক পোস্টে তিনি বলেন, ইকুয়েডর ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং মেক্সিকোর সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ করেছে।
দুর্নীতির অভিযোগে দুটি মামলায় গ্লাসকে মোট ১৪ বছরের সাজা দেয়া হয়। এরপর তিনি পাঁচ বছর জেল খাটেন এবং ২০২২ সালে ছাড়া পান। ২০২৩ সালের শেষ দিকে তার বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর তিনি মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় নেন।
গত ১ মার্চ ইকুয়েডর সরকার গ্লাসকে গ্রেফতারের জন্য মেক্সিকো সরকারের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীকে দূতাবাসে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু লোপেজ ওব্রাডোর সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে।