দক্ষিণ কোরিয়ার ২২তম জাতীয় নির্বাচন আগামী ১০ এপ্রিল। তবে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থেকে আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
রিপাবলিক অব কোরিয়ার ন্যাশনাল ইলেকশন কমিশন (এনইসি) জানিয়েছে, দেশটিতে এবার মোট ভোটার ৪ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ১১ জন। তার মধ্যে শুক্রবার প্রথম দিনে ৬৯ লাখ ১০ হাজার ৫১০ জন ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচনের প্রথম দিন ভোট পড়েছে ১৫.৬১ শতাংশ। যা ইতিহাসের সকল জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রিম ভোটদানের হার। গেল ২১তম সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় ৩.৪৭ শতাংশ বেশি ভোট পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি চার বছর অন্তর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুই বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসা প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়ল প্রশাসনের মধ্যবর্তী মূল্যায়ন হিসেবে এই ভোট গ্রহণকে দেখা হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনী যুদ্ধে লড়ছে প্রধান দুটি দল। ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) এবং প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি অবে কোরিয়া (ডিপিকে) দুই দলই তরুণ ভোটারদেরকে গুরত্ব দিয়ে ভোট চাইতে দেখা যায়।
সাধারণ জনগণের মতে, জাতীয় দুর্যোগ বা সংকটের সময় সাধারণত ক্ষমতাসীন দল রক্ষণশীল আচরণ করে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, অসন্তোষজনক কৃষিপণ্যসহ ফলের দাম ক্রমবর্ধমান দাম, মেডিকেলের কোটা বৃদ্ধি, নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি, বেতন-ভাতা এবং উত্তর কোরিয়ার নিউক্লিয়ার কর্মসূচি এবারের নির্বাচনে প্রভাব রাখবে।