একটি ম্যাচ, একটি শিরোপার অপেক্ষা। কোটি কোটি চোখ ছিল নিষ্পলক। দুই হাত এক করে কেউ স্টেডিয়ামে, কেউ প্রার্থনা কক্ষে। চাওয়া কেবল একটাই। ঘরের মাটিতে ফাইনাল জয়। শুধু তাই নয়, শচীন টেন্ডুলকার-মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো তারকারা নিজেদের অপূর্ণতা কীভাবে পূরণ করেন, কতটা সফল হন- সেটিও দেখতে চেয়েছিলেন ভক্তরা।
২০১১ সালের আজকের এই দিনে ২৮ বছরের আক্ষেপ কিংবা অপেক্ষার সমাপ্তি টেনেছিল ভারত। ঘরের মাটিতে নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে দেশটি। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের দশম আসরটিতে শুরু থেকেই ফেভারিট ছিল ভারত। অবশেষে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেই প্রমাণ রেখেছি ধোনির দল।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে ভারত বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছিল। স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড। এছাড়া এর আগে মাত্র দুবার পরে ব্যাটিংয়ে নামা দল জয় পেয়েছিল, সেই পরিসংখ্যানেও ভারত নাম লেখায়।
শচীন-ধোনিরা আরও মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে এই ম্যাচের আগে সেঞ্চুরি পাওয়া দল কখনও হারেনি। কিন্তু ভারত-শ্রীলঙ্কার সেই ফাইনালে মাহেলা জয়াবর্ধনে অপরাজিত থেকে সেঞ্চুরি করেও হার দেখেছিলেন। ফাইনালের সেই মহারণে ভারতের দলীয় সংগ্রহ ৩১ রানের মধ্যে লাসিথ মালিঙ্গা তুলে নিয়েছিলেন ২টি উইকেট।
তবে এরপরে গৌতম গাম্ভীরের ৯৭ ও অধিনায়ক ধোনির ৯১ রানে জয় তুলে নিয়েছিল ভারত। ভারতীয় দলপতি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন। আর যুবরাজ সিং হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট অব দ্য ম্যাচ। বিশ্বকাপের সেই আসরে মাত্র ১৮ রান করে মালিঙ্গার বলে আউট হয়েছিলেন শচীন। তবে তার হাতে বিশ্বকাপ ওঠায় আনন্দে ভেসেছিল ভারত। অবশ্য এরপরে ভারত বৈশ্বিক আর কোনো শিরোপা জিততে পারেনি।