ফিলিস্তিনের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিপাকে পড়েছেন মার্কিন এক মুসলিম নারী। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহের এ ঘটনা নিয়ে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলুকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রোল্লা আবদেলজাওয়াদ নামে ওই নারী, যিনি ওকলাহোমা রাজ্যের বাসিন্দা।
আবদেলজাওয়াদ ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, সত্যি বলতে, আমি খুবই মর্মাহত। আমি বিশ্ব ভ্রমণ করেছি। কিন্তু আমি যে দেশেই যাই না কেন যা আমাকে অনন্য করে তোলে তা হল ,আমি একজন আমেরিকান। কারণ আমেরিকাতে আমরা বাকস্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখি। আমাদের আইন-কানুন নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা করতে হয় না। এ জিনিসগুলো আমেরিকায় খুবই স্বাভাবিক, সহজাত।
আবদেলজাওয়াদ জানান, এ ঘটনার (এফবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ) পর তার নিজের বাসাতে নিজের সম্প্রদায়ের কাছে তাকে অনিরাপদ মনে হচ্ছে।
আবদেলজাওয়াদ আরও বলেন, এফবিআই এসব পোস্টের বিষয়ে বেশ সচেতন। আর অন্যদিকে, প্রকৃত অপরাধীরা অপরাধ করছেন। এটা কি তাদের সময় নষ্ট না!’
গাজা নিয়ে পোস্টের কথা উল্লেখ করে মার্কিন ওই নারী বলেন, শিক্ষামূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি ‘কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করেন।
তিনি বলেন, গাজায় প্রতি মিনিটে শিশু এবং নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।
আবদেলজাওয়াদের অ্যাটর্নি হাসান শিবলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, কারও এফবিআই-এর প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই; ঠিক যেমন আপনার দরজায় কড়া নাড়লে কোনো অপরিচিত ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দিতে আপনি বাধ্য নন।
শিবলি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধানে সংরক্ষিত আছে।
শিবলি আরও বলেন, যদি এফবিআই তার বাকস্বাধীনতার অনুশীলনের কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু করে, তবে তারা তার (আবদেলজাওয়াদ) অধিকার এবং মার্কিন সংবিধানকে ছোট করছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক।