গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিরা। রোববার (৩১ মার্চ) কায়রোতে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় এই আলোচনা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরাইলি কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানায়, রোববার মিশরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আয়োজিত আলোচনায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে তেল আবিব। এরইমধ্যে আলোচনায় অংশ নিতে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া ও শিন বেতের প্রধান রনেন বারের নেতৃত্বে দুটি প্রতিনিধি দলসহ তেল আবিবের প্রতিনিধিদল কায়রোতে পৌঁছেছে।
এদিকে হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ইসরাইলিদের মুক্তির দাবিতে তেল আবিবে চলছে বিক্ষোভ। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আর জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে এক হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। হামাসের সঙ্গে জিম্মি বিনিময় চুক্তি না হলে ইসরাইলকে পুড়িয়ে ফেলার হুমকিও দিয়েছে জিম্মিদের পরিবার।
অন্যদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার জন্য ত্রাণবাহী দ্বিতীয় জাহাজের বহর শনিবার সাইপ্রাস থেকে যাত্রা শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন এবং স্প্যানিশ ওপেন আর্মস নামের দুটি দাতব্য সংস্থা দ্বারা পরিচালিত ত্রাণবাহী জাহাজের বহরটিতে প্রায় ৪০০ টন সাহায্য গাজায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ত্রাণবাহী বহরটির গাজায় পৌঁছাতে প্রায় ৬৫ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত সাইপ্রাস নিউজ এজেন্সি।
সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এছাড়া গাজার দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের একটি আদেশের পরও উপত্যকাটিতে ইসরাইলি বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। শনিবারও গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে অনেকেই হতাহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় ৮২ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল ৫০টির বেশি বোমা হামলা করেছে ইসরাইল। এতে বেসামরিক লোকজনের ঘরবাড়ি লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৭০৫।