গাজায় দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশ মানছে না ইসরাইল। বিশ্ব সম্প্রদায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
পবিত্র রমজান মাসেও গাজা সিটিসহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে বোমাবর্ষণ। এমনকি রাফাহ শহরে স্থল অভিযানের বিষয়ে অনড় অবস্থানে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
আন্তর্জাতি আদালত, জাতিসংঘ কিংবা যুক্তরাষ্ট্র। কারো কথাই পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরাইল। সব আহ্বান আর নির্দেশনা উপেক্ষা করে গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চলছে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ।
শুক্রবারও (২৯ মার্চ) মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারান প্রায় একশ ফিলিস্তিনি। আল শিফা হাসপাতালের আশাপাশে বহু হামাস যোদ্ধা লুকিয়ে আছে বলে দাবি করে সেখানে অভিযান জোরদারের ঘোষনা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এমনকি জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস মসজিদেও বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। ইসরাইলি বর্বরতায় শুধু সাধারণ ফিলিস্তিনি নয় বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে মানবাধীকার কর্মীদেরও।
যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের শিগগিই খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।
তবে সেই নির্দেশনা না মেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। এমনকি গাজার লাইফলাইন খ্যাত রাফায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
এমন পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনা চালুর জন্য কাতার ও মিশরে প্রতিনিধি পাঠাতে রাজি হয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, নিরাপত্তা পরিষধে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়ে লোক দেখানো উদ্যোগ নিলো নেতানিয়াহু সরকার।
হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের নিরাপদে মুক্তির বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হলেই কেবল আলোচনা ফলপ্রস্যু হবে বলে জানিয়েছে ইসরাইল। তবে ইসরাইল অনড় অবস্থান থেকে সরে না আসলে যুদ্ধবিরতির আলোচনা সফল হবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।