কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ভালো রান করেও জয় পায়নি রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ডের মালিক হয়েছেন বিরাট কোহলি। বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ডে এদিন ক্রিস গেইলকেও ছাড়িয়ে গেছেন তারকা এই ক্রিকেটার।
আইপিএলের আগে ক্রিকেট থেকে দীর্ঘ বিরতি নিয়েছিলেন কোহলি। তবে মাঠে ফিরে চিরচেনা রূপেই ধরা দিয়েছেন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার। চলমান আসরে প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতেই ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান করে পার্পল ক্যাপটাও রেখেছেন নিজের দখলে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) কলকাতার বিপক্ষে ৫৯ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস খেলেছেন কোহলি। তার ব্যাটে ভর করেই ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় দল। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরু হারলেও শিরোনাম হয়েছেন কোহলি। এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ডের মালিক হয়েছেন তিনি।
আইপিএলে এক ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে সর্বোচ্চ ২৩৯ ছক্কার রেকর্ডটি এতদিন ছিল ক্রিস গেইলের। কলকাতার বিপক্ষে ৪ ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তির সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন কোহলি। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জার্সিতে তার মোট ছয়ের সংখ্যা এখন ২৪১টি। কোহলি এবং গেইলের পর এই তালিকায় আছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স। বেঙ্গালুরুর জার্সিতে ২৩৮টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার তালিকায়ও আছেন কোহলি। মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে টপে তালিকার চারে উঠেছেন তিনি। তালিকার শীর্ষে থাকা ক্রিস গেইলের আইপিএলে মোট ছক্কা ৩৫৭টি। দুইয়ে থাকা রোহিতের ছক্কা ২৬১টি। ২৫১ ছক্কা নিয়ে ডি ভিলিয়ার্স তিনে এবং ২৩৯ ছক্কা মারা মাহেন্দ্র সিং ধোনি আছেন পঞ্চম অবস্থানে।
কলকাতার বিপক্ষে ম্যাচে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। এতদিন আইপিএলে সর্বোচ্চ ১০৯টি ক্যাচ ধরার রেকর্ড ছিল সুরেশ রায়নার। অবসর নেয়া সাবেক ভারতীয় এই অলরাউন্ডার এই রেকর্ড গড়তে ২০৫টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন। তার সমান ক্যাচ (১০৯) ধরে সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন কোহলি। তবে তিনি ম্যাচ খেলেছেন বেশি ম্যাচ (২৪০)। ক্যাচ ধরার এই তালিকায় এরপর আছেন– কাইরন পোলার্ড (১০৩), রোহিত শর্মা (৯৯), রবীন্দ্র জাদেজা (৯৭) ও শেখর ধাওয়ান (৯৬)।