অভিযোগ উঠেছিল অনেক আগেই। গত কয়েক সপ্তাহ তদন্তের পর জানা গেল আসল সত্য। দলের এক ফুটবলারের সঙ্গে সত্যিই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন লেস্টার সিটি নারী দলের কোচ উইলি কার্ক। তদন্তের পর তাকে ছাঁটাই করেছে লেস্টার সিটি কর্তৃপক্ষ।
ফুটবলারের সঙ্গে কার্কের সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠে মাসখানেক আগে। অভিযোগ পাওয়ার পর চলতি মাসের শুরুতে কার্ককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় লেস্টার। সেসময় জানানো হয়েছিল ক্লাবের ‘অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া’য় কার্ক সাহায্য করছেন কার্ক। মূলত অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার কথা বলে সেসময় তদন্ত চালিয়েছে লেস্টার।
অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে লেস্টার। এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্লাবটি জানিয়েছে, ‘অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা প্রক্রিয়া এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি ক্লাবের সম্মান দেখানোর বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী উইলি দলের আচরণবিধি এমন মাত্রায় ভেঙেছেন যে তাকে আর এই পদে (কোচ) রাখা যাচ্ছে না।’
ইংল্যান্ডের শীর্ষ নারী লিগে অংশ নেয়া লেস্টারের কোচ হিসেবে ২০২২ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কার্ক। এর আগে এভারটনের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। লেস্টার জানিয়েছে, যে আচরণবিধি ভাঙায় কার্ককে ছাঁটাই করা হয়েছে, সেটি ২০২৩–২৪ মৌসুম শুরুর আগেই কার্যকর করা হয়েছে।
লেস্টার নারী দলের সর্বশেষ তিন ম্যাচে কার্ককে ডাগআউটে দেখা যায়নি। ছাঁটাই হওয়া নিয়ে বিবিসি স্পোর্ট কার্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পায়নি। ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমটি জানাচ্ছে, কোচ–খেলোয়াড় প্রেমের সম্পর্ক অবৈধ নয়, যদি না কেউ অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়। তবে সম্পর্কে জড়ানোর পর আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠতে পারে। উইমেনস সুপার লিগে (ডব্লিউএসএল) লাইসেন্স পেতে ক্লাবগুলো খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে আচরণবিধির এই শর্ত বেঁধে দিয়েছে।