বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ব্রাজিল তারকা ভিনিসিউস জুনিয়র লড়াই করে যাচ্ছেন। হয়ে উঠেছেন বর্ণবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম মুখপাত্র। এবার বর্ণবাদের বিষবাষ্প রুখে দিতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছে ভিনিসিউসের দল ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা মুখোমুখি হচ্ছে একবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনের।
রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত আড়াইটায় স্পেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। ‘ওয়ান স্কিন ‘ স্লোগানে বর্ণবাদকে রুখে দিতে নামছে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
দীর্ঘ ১১ বছর পর মুখোমুখি হচ্ছে ফুটবলের এই দুই পরাশক্তি। এর আগে সর্বশেষ ২০১৩ সালে কনফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল তারা। সে সময়কার ইউরো ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে সেই ম্যাচে একাই উড়িয়ে দিয়েছিলেন সে সময়ের ২১ বছরের তরুণ নেইমার। ৩-০ গোলের জয়ে সেই আসরের শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল, যা নেইমারের সিনিয়র ক্যারিয়ারের একমাত্র আন্তর্জাতিক শিরোপা হয়ে আছে। ফাইনালে একটি গোলও করেছিলেন নেইমার।
এরপর অবশ্য আরও একবার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-স্পেন। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের ফাইনালেও ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু অলিম্পিকে খেলে থাকে অনূর্ধ্ব ২৩ দল। তাই সেই ম্যাচ এই হিসেবের বাইরেই থাকবে।
সিনিয়র পর্যায়ের ফুটবলে এখন পর্যন্ত নয়বার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল ও স্পেন। এবার দশমবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তারা। মুখোমুখি লড়াইয়ে বেশ বড় ব্যবধানে এগিয়ে সেলেসাওরা। পাঁচবার জয় পেয়েছে হলুদ জার্সিধারীরা। অন্যদিকে লা রোজারা জয় পেয়েছে মোটে দুইবার। বাকি দুই ম্যাচে জয় পায়নি কেউই।
গোল করার দিক দিয়েও এগিয়ে ব্রাজিল। ১৫টি গোল করার বিপরীতে হজম করেছে ৮টি গোল। বিশ্বকাপের আসরেও মুখোমুখি লড়াইয়ে ব্রাজিল বড় ব্যবধানে এগিয়ে। পাঁচবারের লড়াইয়ে ব্রাজিলের জয় তিন ম্যাচে। এক ম্যাচ জিতেছে স্পেন। বাকি ম্যাচটি ড্র হয়েছে।
দুই দলের লড়াইয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডটাও ব্রাজিলের। ঘরের মাঠে ১৯৫০ বিশ্বকাপে স্পেনকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। স্পেন যে দুবার জয় পেয়েছে, প্রতিবারই ব্রাজিলের জালে ৩টি করে গোল দিয়েছে। ১৯৩৪ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-স্পেন। সে দেখায় লা রোজারা ৩-১ ব্যবধানে জয় পায়। আর ১৯৯০ সালে এক আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচেও ৩-০ গোলে জয় পায় স্পেন।