গত দুই বিশ্বকাপেই জার্মানি বাদ পড়েছে গ্রুপ পর্বে। ঘরের মাঠে জুনে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আগে ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম নষ্ট অবস্থা কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যানের। দলের বাজে অবস্থা দেখে অবসর ভেঙে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার টনি ক্রুস। পাক্কা তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখলেন রিয়াল মাদ্রিদের স্নাইপার ক্রুস। গত দুই বিশ্বকাপেই ফাইনাল খেলা ফ্রান্সের বিপক্ষে জার্মানদের এগিয়ে দিতে সময় নিয়ছেন মোটে ৮ সেকেন্ড। ক্রুসে ভাগ্য ফিরেছে জার্মানির।
শনিবার (২৩ মার্চ) গ্রুপমা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জার্মানি। ম্যাচের প্রথম মিনিটে ফ্লোরিয়ান রিটজের গোলে এগিয়ে যাওয়া জার্মানি দ্বিতীয়ার্ধে কাই হাভার্টজের গোলে জয় নিশ্চিত করে। এই ম্যাচ দিয়ে তিন বছর পর জার্মানির জার্সিতে প্রত্যাবর্তন হয়েছে মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের।
এদিন জমিয়ে বসার আগেই ফ্রান্সের জালে বল পাঠায় জার্মানি। ম্যাচ শুরুর অষ্টম সেকেন্ডেই বেয়ার লেভারকুসেনের মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান রিটজ জার্মানিকে এগিয়ে দেন। মাঝমাঠের একটু নিচে থেকে টনি ক্রুস পাস বাড়ান। প্রথম স্পর্শে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দূরপাল্লার শটে বল জালে জড়ান রিটজ। হতভম্ব ব্রিস সাম্বা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বল জালে জড়াতে দেখেন।
২২ মিনিটে গোল শোধ করার সুযোগ এসেছিল ফ্রান্সের সামনে। ডানপ্রান্ত থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বক্সের মাথায় কিলিয়ান এমবাপ্পেকে খুঁজে নেয়। তবে বল বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। প্রথমার্ধে এক গোলের লিড ধরে রেখে বিরতিতে যায় জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের গোলের দেখা পায় জার্মানি। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে মাইনাস করেন জামাল মুসিয়ালা। ফাঁকা জায়গা কাজে লাগিয়ে দ্রুত দৌড়ে এসে বল জালে পাঠান কাই হাভার্টজ। ৭৮ মিনিটে জার্মানির মিতেলস্টাডের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এই নিয়ে শেষ দুই দেখাতেই ফ্রান্সকে হারাল জার্মানি। বিশ্বকাপের আগে বিশ্বকাপের রানার্স আপ ফ্রান্সকে হারানোতে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাবে জার্মানি -এমনটাই ভাবছেন অনেকেই।
এদিকে আরেক প্রীতি ম্যাচে আফ্রিকান পরাশক্তি মরক্কোকে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়েহে লুকা মদ্রিচের দল। এর আগে দুই দলের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়।