Homeসর্বশেষ সংবাদমরিচা পড়া লোহা দিয়ে নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ, দায়সারা তদারকি কর্মকর্তা

মরিচা পড়া লোহা দিয়ে নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ, দায়সারা তদারকি কর্মকর্তা

পটুয়াখালীর বাউফলে আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় চন্দ্রপাড়া খালের ওপর একটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে পুরোনো ও মরিচা পড়া মালামাল দিয়ে। নিয়ম অনুযায়ী নতুন মালামাল দিয়ে নির্মাণ কাজ করা কথা থাকলেও তা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ- চন্দ্রপাড়া সড়কে চন্দ্রপাড়া খালের ওপর এ আয়রন ব্রিজের নির্মাণ কাজে ব্যবহার হচ্ছে পুরোনো মরিচা পড়া লোহার পিলার। এর মাধ্যমে অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।

এছাড়াও ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের যাতায়তের জন্য বিকল্প একটি কাঠের সেতুও দায়সারা ভাবে নির্মিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা কালাম মুন্সি বলেন, ব্রিজ তৈরির নামে সরকারি বরাদ্দ লুটপাট করছে অসাধু ঠিকাদাররা। নতুন মালামল দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করার কথা থাকলেও বরাদ্দের টাকা আত্মসাত করে পুরোনো মরিচা পড়া লোহার পিলার, ভীম ও এঙ্গেল ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ব্রিজটিও বেশিদিন টিকবেনা। এতে করে দিনশেষে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

সরেজমিনে গিয়েও দেখা যায় একই চিত্র। ছয় থেকে সাত জন শ্রমিক ব্রিজের কাজ করছেন। তারা পুরোনো মরিচা পড়া লোহার পিলার কোনও ধরনের যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই নৌকার ওপর ভর করে কাদা-মাটিতে পুতছেন।
পুরোনো মরিচা পড়া লোহার বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোজা অ্যান্ড সাওম এন্টারপ্রাইজের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাব-ঠিকাদার অরবিন্দু দাস বলেন, কাজ ঠিকমতো হচ্ছে। কোনো ধরণের অনিয়ম হচ্ছে না।

নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী এবিএম হুমায়ন কবির বলেন, নতুন পোস্ট পাওয়া যায় না বিধায় পুরোনো পোস্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বাকি সব নতুন। অবশ্য ভীমসহ অন্য সব মালামাল পুরোনো ও রং করা বলে প্রশ্ন করা হলেও বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

এ বিষয়ে উপজলো প্রকৌশলী মো. মানিক হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় চন্দ্রপাড়া খালের ওপর ২৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩.৭ মিটার প্রস্থের ব্রিজটির নির্মাণ কাজ পায় মেসার্স রোজা অ্যান্ড সাওম এন্টারপ্রাইজ। এর ব্যয় ধরা হয় ৬২ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫০ টাকা। ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হলেও কাজ শুরু হয় পাঁচ দিন আগে।

সর্বশেষ খবর