Homeখেলাবাংলাদেশ দলের ভরাডুবিতে কোচকে দুষছেন সাবেকরা

বাংলাদেশ দলের ভরাডুবিতে কোচকে দুষছেন সাবেকরা

কোচ হাভিয়ের কাবরেরার যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়েছে। সেই সঙ্গে ম্যাচে ডিফেন্ডার ও মিডফিল্ডারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক ফুটবলাররা। ফিলিস্তিনের হাই প্রেসিং ফুটবলের বিপক্ষে ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলা উচিত ছিল বলে মত তাদের।

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে এর আগে এত বড় ব্যবধানে কখনো হারেনি বাংলাদেশ। তাই হয়তো এই ম্যাচ ঘিরে অনেক প্রত্যাশা ছিল দেশের ফুটবল সমর্থকদের। আর মধ্যপ্রাচ্যের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে দুই সপ্তাহ সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের সঙ্গে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে জামাল ভূঁইয়ার দল। তবে সব পরিকল্পনাই ভেস্তে যায় ম্যাচে। র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি জামাল-তপুরা।

তবে ম্যাচের শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। প্রথম ৪২ মিনিট কোনো গোল হজম করেনি, ছন্দপতন হয় তারপরই। ফিলিস্তিনের হাই প্রেসিং ফুটবলের বিপক্ষে নিজেদের ডিফেন্স ঠিক না রেখে উলটো প্রেসিং ফুটবল খেলায় দলের এমন ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করেন সাবেক ফুটবলাররা। এমন বড় ম্যাচে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

সাবেক ফুটবলার আলফাজ আহমেদ বলেন, ‘বড় দলের বিপক্ষে কীভাবে খেলতে হবে সেটা আসলে কোচের জানা নেই। কোচ তাদের সঙ্গে একতালে খেলতে চেয়েছে। প্রথম হাফ ভালো খেলেছে, তবে ৯০ মিনিটের খেলা, পুরোটা সময় খেলার সক্ষমতা আছে কিনা সেটা বোঝা উচিত ছিল।’

সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘দুইটা দিক খুবই দুর্বল ছিল। একটা দল বাছাই আর দ্বিতীয়টা দুর্বল ডিফেন্ডিং। এ কারণেই ম্যাচটা এক তরফা হয়েছে।’

ম্যাচে বাংলাদেশের ডিফেন্স ও মিডফিল্ডের খেলোয়াড়দের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাবেকরা। সেই সঙ্গে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার পারফরম্যান্সেও হতাশ তারা। পুরো ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে পারেননি সাদ-বিশ্বনাথরা। যার খেসারত দিতে হয়েছে ৫ গোল হজম করে।

সাবেক অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টচার্য বলেন, ‘আপনার যখন প্রতিপক্ষের কাছে বল থাকবে, তখন অবশ্যই আমার রক্ষণভাগ ঠিক রাখতে হবে। আমার কাছে সেখানে ঘাটতি মনে হয়েছে। আমরা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলছি। আমার মনে হয়েছে, আমাদের দুটো স্ট্রাইকার নিয়ে খেলা ঠিক হয়নি।’

আরেক সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘তারেক কাজীর অনুপস্থিতিতে সেন্টারব্যাকে বিশ্বনাথকে না খেলিয়ে উপযুক্ত কোনো সেন্টারব্যাককে খেলানো উচিত ছিল। আমার কাছে মনে হয়, ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সে রাইটব্যাকে বিশ্বনাথ সেরা খেলোয়াড়। তাকে রাইটব্যাকে রেখে উপযুক্ত সেন্টারব্যাক কাউকে সে জায়গায় খেলানো উচিত ছিল। একইভাবে মিডফিল্ডে বড় সোহেল রানা না থাকার একটা ঘাটতি থেকে গেছে। পুরো ম্যাচ যদি দেখেন, সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে জামাল তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেননি।’

অ্যাওয়ে ম্যাচে বড় হারের ক্ষত ভুলে হোম ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ, এমনাটাই প্রত্যাশা সাবেক ফুটবলারদের। আগামী ২৬ মার্চ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি।

Exit mobile version