ব্রাজিলের একটি আদালতের প্রায় সব বিচারকই একমত এবং রায় দিয়েছেন যে, রবিনহোকে ব্রাজিলে ৯ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতেই হবে। ২০১৭ সালে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলো ইতালির আদালত।
২০১৩ সালে ইতালির মিলানের এক নৈশ ক্লাবে আলবেনিয়ান এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ এসেছিল রবিনহোর বিরুদ্ধে। এরপরে ২০১৭ সালে রবিনিওকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। এরপর ইতালি থেকে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু অন্য দেশে অপরাধ করার পরে সেই দেশের বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের নাগরিককে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল। তাতে দোষী হলেও মুক্তভাবে নিজ দেশে ঘুরে বেড়াতে পারছেন রবিনহো।
তবে ২০২২ সালে এই শাস্তি অনুমোদন করে ব্রাজিল সরকারকে তা কার্যকর করার অনুরোধ জানিয়েছিল ইতালি। ইতালির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রবিনহোর শাস্তি যেন ব্রাজিলেই কার্যকর করা হয়। সেটারই চূড়ান্ত রায় এল অবশেষে।
বুধবার (২০ মার্চ) রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রবিনহো। তার পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন রবিনহোর আইনজীবী জোসে আল্কমিন। সাংবাদিকদের আল্কমিন জানিয়েছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন এবং তিনি তার মক্কেলকে (রবিনহোর) জেলের বাইরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
রবিনহো শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। সম্প্রতি ব্রাজিলের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক টিভি রেকর্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৪০ বছর বয়সী সাবেক ফুটবলার জানিয়েছেন, ওই নারীর সঙ্গে সবকিছু পারস্পরিক সম্মতিতেই হয়েছিল। এ ছাড়া তিনি ইতালির বিচারিক ব্যবস্থাকে ‘বর্ণবাদী’ আখ্যা দিয়েছেন।
ব্রাজিলের হয়ে ১০০ ম্যাচে ২৮ গোল করেছেন রবিনহো। খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান ও ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবে।