গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে আউয়াল ইসলাম শুভ (২৬) নামে এক ব্যবসায়ী যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শ্রী নীল বাবু চন্দ্র দাস (২৩) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দাসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।
বুধবার (২০ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. কামাল হেসেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে গাজীপুরের বাসন উপজেলার সাদুর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শ্রী নীল বাবু চন্দ্র দাস (২৩) উপজেলার দারগার খামার মাঝিপাড়া এলাকার শ্রী নিপেন চন্দ্র দাসের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, সুন্দরগঞ্জ থানার একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে আউয়াল ইসলাম শুভ হত্যা ঘটনার সাথে জড়িত আসামি শ্রী নীল বাবু চন্দ্র দাসকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে।
আউয়াল ইসলাম শুভ একজন ভ্রাম্যমাণ বিকাশ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি অনলাইন জুয়াড়িদের টাকাও লেনদেন করতেন। গ্রেফতার শ্রী নীল বাবু চন্দ্র দাশ ছিলেন একজন অনলাইন জুয়াড়ি।
কামাল হোসেন বলেন, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ব্যাপারী পাড়ার মোড়ে লিটনের চায়ের দোকানে ক্রিকেট খেলা দেখতে থাকে আউয়াল ও শ্রী নীল বাবুসহ স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে জুয়াও ধরতে থাকে।
পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে আউয়াল বাড়ি ফেরার পথে তাকে রাস্তায় থামায় ইসমাইল ও শ্রী নীল বাবু। টাকা দেওয়ার কথা বলে আউয়াল কে পাশের মানস নদীর ধারে ভূট্টা ও ধানের জমির মাঝখানে নিয়ে যায়। সেখানে ইসমাইল তার কোমড়ে থাকা দা বের করে আউয়ালের ঘাড়ে আঘাত করলে আউয়াল মাটিতে পড়ে যায়। এসময় শ্রী নীল বাবু চন্দ্র দাস আউয়ালের পা চেপে ধরে। পরে ইসমাইল তার নিকট থাকা ধারালো দা দিয়ে আউয়ালের গলার উপর্যুপরি কোপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পুলিশ সুপার বলেন, ইসমাইল আউয়ালের পকেট থেকে কিছু টাকা নিয়ে সেখান থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা শ্রী নীল বাবু কে দেয়।
এ ঘটনায় ১৪ মার্চ সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত আউয়ালের বাবা হাফিজুর রহমান।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করা হয় শ্রী নীল বাবুকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।