একদিকে দানি আলভেজ অন্যদিকে রবিনিও। ব্রাজিলের এই দুই তারকা ফুটবলার নিয়ে কম সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে না দেশটিকে। ধর্ষণের দায়ে আলভেজ স্পেনের কারাগারে বন্দি থাকলেও রবিনিও নিজ দেশেই মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে যেই দেশে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িয়েছিলেন রবিনিও সেই ইতালিই চেয়েছিল ঘটনার শাস্তি ব্রাজিলেই হোক। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রবিনিওর দেশ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বার্সেলোনার সাবেক ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল স্পেনের আদালত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নৈশ ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অপরাধে এই সাজা দেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে ২০১৩ সালে ইতালির মিলানের এক নৈশ ক্লাবে আলবেনিয়ান এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ এসেছিল রবিনিওর বিরুদ্ধে।
এরপরে ২০১৭ সালে রবিনিওকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। এরপর ইতালি থেকে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু অন্য দেশে অপরাধ করার পরে সেই দেশের বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের নাগরিককে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল। তাতে দোষী হলেও মুক্তভাবে নিজ দেশে ঘুরে বেড়াতে পারছেন রবিনিও। এরপরে ২০২২ সালে এই শাস্তি অনুমোদন করে ব্রাজিল সরকারকে তা কার্যকর করার অনুরোধ জানিয়েছিল ইতালি। এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি ব্রাজিল।
এ দিকে টিভি রেকর্ডকে রবিনিও বলেছেন, ‘ইতালিতে সেই নারীর সঙ্গে যা হয়েছে সবকিছু সম্মতির ভিত্তিতেই হয়েছিল। ঘটনার পরে আমার ডিএনএ পাওয়া যায়নি। আমি চাইলেই অস্বীকার করতে পারতাম। কিন্তু নিজেকে মিথ্যাবাদী বানাতে চাই না। আমি বলছি ঘটনা সত্য ছিল এবং সেটি সম্মতিতেই হয়েছিল। ইতালিতে খেলতে গিয়ে বর্ণবাদের ঘটনা দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু তারা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারাই আমাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।’
এ দিকে রবিনিওর ঘটনায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা সাজার মেয়াদ কার্যকরের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে সেটি অবশ্যই ব্রাজিলের মাটিতে।