ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং ওই জাহাজে থাকা ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালিয়ার পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর সম্মিলিত দল।
সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে ছিনতাই হয় এমভি আবদুল্লাহ। প্রায় এক দশক শান্ত থাকার পর, এটি সোমালি জলদস্যুদের হাতে গত নভেম্বর থেকে ২০টিরও বেশি জাহাজ ছিনতাই চেষ্টার সবশেষ ঘটনা।
রয়টার্স বলছে, সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড এলাকাটি অসংখ্য জলদস্যু চক্রের ঘাঁটি। আধাস্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলটির পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে, তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং এমভি আবদুল্লাহকে জব্দ করা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে।
এক বিবৃতিতে পুন্টল্যান্ড পুলিশ বলেছে, আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের পরিকল্পনা করছে- এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর পুন্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।
এ বিষয়ে ভারতের নৌবাহিনীর কাছ থেকে রয়টার্স মন্তব্য চাইলেও, তারা এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে রোববার (১৭ মার্চ) পুন্টল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছিল, তারা বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের সরবরাহ করার জন্য মাদক পরিবহনকারী একটি গাড়ি জব্দ করেছে।
উল্লেখ্য, মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
এর আগে, ভারত মহাসাগরে বিশেষ কমান্ডো অভিযান চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা একটি বাণিজ্যিক জাহাজ দখলে নিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। মাল্টার পতাকাবাহী ‘এমভি রুয়েন’ নামের ওই জাহাজটি গত বছরের শেষ দিকে ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
ভারতের নৌবাহিনী আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৪০ ঘণ্টার অপারেশনে জলদস্যুদের কবলে থাকা মাল্টার জাহাজ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস কলকাতা’ শনিবার (১৬ মার্চ) জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই জাহাজের ৩৫ জলদস্যুকে কোণঠাসা করে ফেলতে সক্ষম হয়। পরে তারা আত্মসমর্পণ করে। একইসঙ্গে ওই জাহাজ থেকে ১৭ জন নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।