রাজধানীর কল্যাণপুরে ইবনে সিনা হাসপাতালে সিজারিয়ান চিকিৎসায় অবহেলার কারণে পলি সাহা নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর তিনটার দিকে ওই নারীর মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার (১৮ মার্চ) পেটে ব্যথা নিয়ে পলি সাহাকে হাসপাতালে ভর্তি করান তার স্বজনরা। সেদিন দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সিজারের জন্য পলি সাহাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশনে ছেলে সন্তান জন্ম দেন পলি। পরে মা ও বাচ্চা দুজনই সুস্থ আছে বলে জানায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু হঠাৎ মঙ্গলবার ভোর থেকে পলি সাহার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে আবার অস্ত্রোপচার করে তার জরায়ু কেটে ফেলা হয়। সবশেষ তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পলির স্বামী মুন্নার দাবি, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং চিকিৎসকের অবহেলার কারণে এই মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বসুন্ধরা আদ-দ্বীন হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় তাসনিয়া জাহান তনয়া নামে ১২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অ্যাপেন্ডিসাইটিস অস্ত্রোপচারের জন্য হেঁটে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকে তাসনিয়া। কিন্তু অস্ত্রোপচার শেষে লাশ হয়ে বেরিয়ে আসে সে।
এ ঘটনার পর হাসপাতালের চার চিকিৎসককে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
তাসনিয়ার বাবা মনিরুজ্জামান জানান, তার মেয়ে সোনারগাঁ উদয়ন আদর্শ বিদ্যানিকেতন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো। মেয়ের পেটে ব্যথা অনুভব হলে সোমবার সোনারগাঁ থেকে আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা। অ্যাপেনডিসাইটিসের কথা জানান ডাক্তার। তার অপারেশন করাতে হবে বলে ভর্তি নেন।
মনিরুজ্জামান আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে হেঁটে যায় তাসনিয়া। তবে তার সে যাওয়াই যে শেষ যাওয়া হবে বুঝেননি বাবা। মেয়ের হত্যাকারী চিকিৎসকের বিচার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।