মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মিনবিয়া শহরে সোমবার (১৮ মার্চ) জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২৩ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৩ জন। কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই এ হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী। প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার থারডার এলাকায় জান্তা বাহিনী যুদ্ধবিমান থেকে দুটি বোমা নিক্ষেপ করলে ২৩ জন নিহত হন। এদের মধ্যে এক ধর্মীয় নেতা ও তার স্ত্রী এবং অনেক শিশুও রয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা ইরাবতীকে বলেছেন, বোমা হামলায় আহত ১৮ রোহিঙ্গার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এছাড়া তুলনামূলক কম আহত আরও অন্তত ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইরাবতী বলছে, থারডার এলাকায় প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গা পরিবার বসবাস করে, যাদের জনসংখ্যা দুই হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অনেকেই ওই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
নায় সান লিউইন নামে এক রোহিঙ্গা সমাজকর্মী বলেন, অপকর্মের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কখনো শাস্তি হয়নি। দায়মুক্তি পেয়ে এরা শুধু রোহিঙ্গাদের ওপরই দমন–পীড়ন করছে না, বরং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী মানুষের ওপরও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এই দায়মুক্তি তুলে নেয়া না হলে তাদের অপরাধ কখনো বন্ধ হবে না।
উল্লেখ্য, আরাকান আর্মি গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিনবিয়া শহর দখলের পর সামরিক জান্তা প্রায়ই সেখানে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করছে।