কলকাতার একটি নির্মাণাধীন ছয়তলা ভবন ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৭ মার্চ) গভীর রাতে গার্ডেনরিচ এলাকার পাহাড়ারপুরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। ধ্বংস্তূপে আটকা পড়েছেন বেশ কয়েকজন।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবনটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি।
মমতা বলেন, এটা খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। আহত নিহতদের পরিবারে পাশে আছি। ভেঙে যাওয়া বস্তি তৈরির জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দেন মমতা।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ তদারকি করেন তিনি। এছাড়া ঘটনাস্থলে ছুটে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে মেয়র ফিরহাদ বলেন, সারা রাত সেখানে থেকেও দুজনকে বাঁচানো গেল না। দমকল মন্ত্রী জানান, ধ্বংস্তূপে আটকে থাকাদের উদ্ধার করার সব ধরনের চেষ্টা চলছে। আশা করা হচ্ছে তাদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাত্র তিন ফুট রাস্তার পাশে ছয়তলা ভবণ নির্মাণ করা হচ্ছিল। প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এর সাথে কলকাতা পৌরসভার যোগসাজস রয়েছে।
তবে কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম বলেছেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময় থেকেই এমন অবৈধ কাজ হচ্ছিল এখানে। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
বাম নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় নেই প্রায় ১৫ বছর। এখন তো মমতা প্রশাসন। তবে কেন এই অবৈধ নির্মাণ কাজ চলছে শহরে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি ড. সুকান্ত মজুমদার বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলররা প্রতি স্কয়ার ফুটে চাঁদা নিয়ে এমন অবৈধ নির্মাণ কাজের অনুমোদন দেন। ফলে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।