ধীরে চলা এবং দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণেই মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালীয় জলদস্যুরা।
এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, এমভি আবদুল্লাহর গতি ছিল খুব কম। সোমালিয়ার জলদস্যুরা প্রথমে একটি ছোট নৌকায় করে আসে। এক জলদস্যু জাহাজটিতে ওঠার চেষ্টা করে। জাহাজটি কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলকামানের মতো ব্যবস্থা থাকলেও ছিনতাই ঠেকানো যেত। শুধু জলকামানই নয়, দস্যুতা থেকে রক্ষায় ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস বা ইউকেএমটিওর যে আটটি নির্দেশনা রয়েছে, তার কোনোটাই ছিল না জাহাজটিতে।
যদিও জাহাজটিতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল বলে দাবি এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের।
জিম্মি দশা থেকে এমভি আবদুল্লাহ দেশে ফিরতে পারলে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।
এদিকে এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর জাহাজের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে নৌ বাণিজ্য অধিদফতর। এতে আন্তর্জাতিক নিয়ম মানার পাশাপাশি সমুদ্রপথে চলাচলকারী ৯৭টি বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে বলা হয়েছে।
নৌ বাণিজ্য অধিদফতরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এসব নির্দেশনা প্রতিপালনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নিয়মও মানতে হবে। এতদিন কোনো কোনো জাহাজ অস্ত্র নিরাপত্তা নিলেও অনেকে নিত না।