ফরিদপুরে গীতা সম্মেলনে সহস্র কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়। গুরু গম্ভীর সুউচ্চ কণ্ঠে গীতার শ্লোকে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ অংশ নেন গীতা পাঠে।
গীতায় রয়েছে মানব জীবনের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর। তাই গীতা পাঠ করলে নাকি মোক্ষ লাভ হয়। সেই পুণ্যার্জনের আশায় ফরিদপুর শহরের শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনে সহস্র কণ্ঠে পাঠ করা হল গীতা। গুরু গম্ভীর সুউচ্চ কন্ঠে গীতার শ্লোকে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ অংশ নেন গীতা পাঠে।
গীতা পাঠে অংশ নিতে এবং শুনতে দূর-দূরান্ত থেকে শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনে এসে উপস্থিত হন সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ। সাজিয়ে তোলা হয় গোটা এলাকা। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পণ্ডিত ও পুরোহিতরা। নারীরা লাল পেড়ে সাদা শাড়ি এবং পুরুষরা পাঞ্জাবি পরে গীতা পাঠ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রচারের জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছে।
শ্রীঅঙ্গন গীতা শিক্ষা কেন্দ্রের আয়োজনে রোববার (১৭ মার্চ) সকালে গীতা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি আচার্য শ্রীমৎ কান্তিবন্ধু ব্রক্ষ্মচারী মহারাজ। গীতা পাঠ শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা। পরে সবার হাতে প্রসাদ তুলে দেওয়া হয়।
ফরিদপুর শ্রীঅঙ্গন গীতা শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক শ্রী রমেন্দ্র নাথ মুখার্জির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক ড. নিকুঞ্জ বন্ধু ব্রহ্মচারী, মহানাম সম্প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমৎ মৃঙ্গাংক শেখর ব্রহ্মচারী, মহানাম সম্প্রদায়ের সদস্য শ্রীমৎ বন্ধু প্রীতম ব্রহ্মচারী, মহানাম সম্প্রদায়ের প্রধান সেবাইত শ্রীমৎ মানস বন্ধু ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ লোকনাথ গীতা প্রচার কেন্দ্রের সভাপতি ধ্রুব চৈতন্য মহারাজ ও শ্রীমৎ মৃনাল বন্ধু ব্রহ্মচারী।
মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি আচার্য্য শ্রীমৎ কান্তিবন্ধু ব্রক্ষ্মচারী মহারাজ জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে এই গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে ছোট পরিসরে করা হলেও এবার সহস্রাধিক বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষের অংশগ্রহণে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয় গীতা পাঠের আয়োজন। ৮ম বছরে এবার সহস্র কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হলো।